এবার প্রবেশ কর নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য

প্রবেশ কর নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে এই কর আদায়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। প্রবেশ করের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে টাটা-সহ বিভিন্ন শিল্পসংস্থা। এই কর চালু হলে জিনিসের দাম বেড়ে যাবে বলে জানায় তারা।

Updated By: Aug 14, 2012, 09:55 AM IST

প্রবেশ কর নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে এই কর আদায়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। প্রবেশ করের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে টাটা-সহ বিভিন্ন শিল্পসংস্থা। এই কর চালু হলে জিনিসের দাম বেড়ে যাবে বলে জানায় তারা। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। এসবের মধ্যেই, শিল্পসংস্থাগুলি বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে প্রবেশ করের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানায়। সোমবার, আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
২০১২-১৩ আর্থিক বছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্যে ফের পণ্য প্রবেশ কর চালুর কথা বলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, এই কর বসিয়ে সরকার বাড়তি প্রায় ২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করবে। যা ব্যয় করা হবে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে। এর পর চলতি বছরের বছর ৩১ মার্চ `দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্স অন এন্ট্রি অব গুডস ইনটু লোকাল এরিয়াজ` আইন চালু হয়। নয়া বিলে বলা হয়, রাজ্যের যুক্তমূল্য কর(ভ্যাট)-এর আওতা থেকে যে সব পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি বাদে, বাকি সব পণ্যের মোট মূল্যের ওপর ১ শতাংশ হারে প্রবেশ কর আদায় করা হবে।
এই নয়া আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল টাটা স্টিল, ভারতী এয়ারটেল, গোদরেজ সহ প্রায় ৩০টি সংস্থা৷ আবেদনকারী সংস্থাগুলির অভিযোগ, এই আইন অসাংবিধানিক৷ কারণ, সংবিধানের ৩০১ ধারায় বলা হয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে বাধাহীন ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করার অধিকার রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পণ্য প্রবেশ কর বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে বাধা তৈরি করছে৷ তা ছাড়া সংবিধানের ৩০৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও রাজ্যের সরকার যদি নতুন কর বসাতে কোনও আইন প্রণয়ন করে, তাহলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। অন্যদিকে সরকার পক্ষের যুক্তি ছিল, সংবিধানের রাজ্য তালিকায়, ৫২ নম্বরে রাজ্যের হাতে পণ্য প্রবেশ কর বসানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ সেই অধিকারবলেই এই নয়া কর আইন চালু করা হয়েছে৷

.