কানোরিয়ার তোপে পূর্ণেন্দু বসু
শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলল কানোরিয়া জুটমিলের সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন। তাদের দাবি, গত বাইশে জুলাই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হয়, দশই নভেম্বরের মধ্যে মিলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। কিন্তু, এখনও ছবিটা বদলায়নি।
শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলল কানোরিয়া জুটমিলের সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন। তাদের দাবি, গত বাইশে জুলাই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হয়, দশই নভেম্বরের মধ্যে মিলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। কিন্তু, এখনও ছবিটা বদলায়নি। মিলের তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের মধ্যে কাজ করছেন মাত্র কয়েকশো জন। তবে, শ্রমমন্ত্রীর দাবি, কথা রেখেছে সরকার। পর্যায়ক্রমে মিলের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। চালু হয়েছে সেকেন্ড শিফট। বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর। রাজারহাট কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন তৃণমূলেরই একাংশ। এবার শ্রমমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করলেন, তাঁর একসময়ের সহযোদ্ধা কানোরিয়া সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা প্রফুল্ল চক্রবর্তী। প্রফুল্লবাবুর বক্তব্য, কানোরিয়া জুটমিল চালু হওয়ার সময় গত বাইশে জুলাই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে লিখিতভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, দশই সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে উত্পাদন। কাজে লাগানো হবে সব শ্রমিককে। প্রফুল্ল চক্রবর্তীর অভিযোগ, বাস্তবে তা হয়নি। মিলের তিন হাজার শ্রমিকের মধ্যে কাজ করছেন মাত্র কয়েকশো জন। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আইএনটিটিইউসি সমর্থক।
মিল চালু হওয়ার সময় সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে দোলা সেনের নেতৃত্বে আইএনটিটিইউসি-র প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আগে থেকেই সরব ছিলেন প্রফুল্লবাবুরা। তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের লোককে কাজে নিয়ে অন্য শ্রমিকদের বঞ্চিত করছেন খোদ শ্রমমন্ত্রী।
যদিও, কানোরিয়া নিয়ে সরকারের সাফল্যের দাবিতে অনড় শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। মিল খোলার খবর পেয়ে নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছিলেন কানোরিয়ার শ্রমিকরা। কিন্তু কবে, আবার সকলে কাজ ফিরে পাবেন, কবে পুরোদমে উত্পাদন শুরু হবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।