রক্ত দিয়েও কামদুনি জানাল, তাঁরা আন্দোলন থেকে সরছে না
কামদুনিতে শান্তিরক্ষা কমিটির রক্তদান শিবিরে যোগ দিলেন কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরাও। তবে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রতিবাদী মঞ্চ তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের নেই। রক্তদান শিবিরে চার মন্ত্রী, পাঁচ বিধায়কের উপস্থিতিই প্রমাণ করল, কামদুনি সরকারের কাছে কত বড় কাঁটা।
কামদুনিতে শান্তিরক্ষা কমিটির রক্তদান শিবিরে যোগ দিলেন কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরাও। তবে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রতিবাদী মঞ্চ তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের নেই। রক্তদান শিবিরে চার মন্ত্রী, পাঁচ বিধায়কের উপস্থিতিই প্রমাণ করল, কামদুনি সরকারের কাছে কত বড় কাঁটা।
চারমাস পরে কামদুনি স্কুল মাঠে পুলিসের ভিড়। চারমাস আগে, ১৭ জুন পুলিসের ভিড় ছিল। সে দিন কামদুনিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ৬ অক্টোবর উপলক্ষ্য সদ্য গঠিত শান্তিরক্ষা কমিটির রক্তদান শিবির। কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ক্ষতিপূরণ আর চাকরি নিতে রাজি হওয়ার পরে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "কামদুনির আন্দোলন শেষ।" আর ৪ মন্ত্রী, ৫ বিধায়ক, ৪ পুরপ্রধান, ৮টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির উপস্থিতিই প্রমাণ করল রবিবারের রক্তদান শিবিরটা সরকারের কাছে কতটা মর্যাদার লড়াই। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "আমরা চাই গ্রামে শান্তির বাতাবরণ তৈরি হোক।" কামদুনি গ্রামকে একান্নবর্তী পরিবার পরিণত করার কথা শোনা যায় মন্ত্রীর গলায়।
বেলা গড়াতেই গুঞ্জন। রক্তদান শিবিরে এলেন প্রতিবাদী মঞ্চের সহ সভাপতি সুকান্ত কয়াল। রক্তও দিলেন। বেলা একটা নাগাদ এলেন প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক মৌসুমী কয়াল। সঙ্গে প্রতিবাদী মঞ্চের দুই মুখ টুম্পা কয়ালের মা মলিনা কয়াল এবং সরমা কয়াল। তবে কি রণেভঙ্গ দিল প্রতিবাদী মঞ্চ?
প্রতিবাদী মঞ্চ ভাঙার লাগাতার চেষ্টা চলছে। সরকারি মদতে গড়ে তোলা হয়েছে শান্তিরক্ষা কমিটি। রক্তদান শিবিরেও প্রতিবাদী মঞ্চকে টার্গট করলেন মন্ত্রীরা। তবু রক্তদান শিবিরে এসে কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ বুঝিয়ে দিল, সৌজন্য বিসর্জন দিতে তারা নারাজ। কমিটিকে তারা শত্রুও ভাবছেন না। আবার কোনও মন্ত্রী-নেতার সঙ্গে দেখা না করে বুঝিয়ে দিলেন, কমিটির রক্তদান শিবিরে এলেও তাঁরা আন্দোলন থেকে সরছেন না।