মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রত্যাশায় জঙ্গলমহল
ক্ষমতায় আসার পাঁচ মাসের মধ্যে জঙ্গলমহলে দ্বিতীয় দফার সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার মধ্যে দিয়েই জঙ্গলমহল সমস্যা মেটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষমতায় আসার পাঁচ মাসের মধ্যে জঙ্গলমহলে দ্বিতীয় দফার সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার মধ্যে দিয়েই জঙ্গলমহল সমস্যা মেটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আদৌ কি সেই পথে সমস্যার সমাধান সম্ভব? ক্ষমতায় আসার আগে জঙ্গলমহল নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি ছিল যৌথবাহিনী প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত বন্দিমুক্তি। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতার কারণেই তাঁর পক্ষে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় জঙ্গলমহলের মানুষের মন পেতে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তার ফলে প্রবল চাপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। একদিকে,
মাওবাদীদের তরফে এই দুই প্রতিশ্রুতি রাখার দাবি জোরালো হয়েছে। অন্যদিকে, একসময় যারা তাঁর সঙ্গে থেকে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, তারাও আজ খোলাচিঠি লিখতে বাধ্য হচ্ছেন। জঙ্গলমহলের সমস্যা আদতে অনুন্নয়নের নাকি রাজনৈতিক? এই দোটানায় এবং প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয়বারের এই জঙ্গলমহল সফর যথেষ্টই তাত্পর্যপূর্ণ। মাওবাদীরা চান, সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক। শান্তিপ্রক্রিয়াও চলবে, যৌথবাহিনীর অভিযানও চলবে- এটা যেন না হয়। সরকার চায়, পুরনো সুসম্পর্কের কথা মাথায় রেখে মাওবাদীরা অস্ত্রসংবরণ করুক। একই সঙ্গে উন্নয়ন এবং চাকরির প্যাকেজের অস্ত্রে সাধারণ মানুষকে মাওবাদীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করাও সরকারের উদ্দেশ্য। অর্থাত্ উভয়তরফই নিজেদের রণকৌশলগত অবস্থান বজায় রাখতে চাইছে। কিন্তু জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষ চান শান্তি।