ফেরত গেল জঙ্গলমহল উন্নয়নের কেন্দ্রীয় টাকা

ফেরত গেল জঙ্গলমহলের উন্নয়নের টাকা। কাজ না হওয়ায় ফেরত গেল কেন্দ্রীয় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় একশো কোটির বরাদ্দ। জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য ওই বিশেষ প্রকল্প ইন্টেগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য তা সরকার খরচ করতে না পারায় ওই বরাদ্দের বিরাট অংশই ফেরত গিয়েছে কেন্দ্রের কাছে।

Updated By: May 17, 2013, 11:24 AM IST

ফেরত ফেরত গেল জঙ্গলমহলের উন্নয়নের টাকা। কাজ না হওয়ায় ফেরত গেল কেন্দ্রীয় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় একশো কোটির বরাদ্দ। জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য ওই বিশেষ প্রকল্প ইন্টেগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য তা সরকার খরচ করতে না পারায় ওই বরাদ্দের বিরাট অংশই ফেরত গিয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
প্রায় প্রতিটি সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে উঠে এসেছে জঙ্গলমহলের উন্নয়নের খতিয়ান।
কিন্তু সর্বশেষ কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য প্রায় একশো কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি রাজ্য।
কেন্দ্রীয় সরকারের বহু প্রকল্পে কাজই শুরু করতে পারেনি রাজ্য সরকার। একবার দেখে নেওয়া যাক কী বলছে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য?
জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্প ইন্টেগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।
ওই প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল মোট দুহাজার একশো বাহান্ন টি স্কিম।বাস্তবায়িত হয়েছে ১৫৫৯টি। মোট বরাদ্দ ছিল ছিল ৯২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।
খরচ হয়েছে ৫৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। ফলে ফেরত গিয়েছে ৩৮ কোটি ৪০ লক্ষ।
বাঁকুড়ার জন্য আইএপি প্রকল্পে ঘোষণা হয়েছিল ৫৮৮টি স্কিম। বাস্তবে কাজ শুরু হয়েছে ৪৫৯টি ক্ষেত্রে। বরাদ্দ ৬২ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। ফলে বাঁকুড়ার ক্ষেত্রেও ফেরত গিয়েছে ২৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা।
পুরুলিয়ায় আইএপির অধীনে ঘোষিত ১১৪৬ স্কিমের মধ্যে বাস্তবে কাজ শুরু হয়েছে ৯৩৭টির। বরাদ্দ হয়েছিল ৬২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু মাত্র ৩৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ায় ২৯ কোটি ৭ লক্ষ টাকাই ফেরত গিয়েছে।
সব মিলে জঙ্গলমহলের তিন জেলায় ইন্টেগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানের জন্য মোট ২১৭ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। ফেরত চলে গিয়েছে ৯৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন উঠেছে কিসের ভিত্তিতে এই দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু কেন্দ্রের প্রকল্পই নয়, জঙ্গলমহলের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। যার সার্কুলার নম্বর ছিল ২৭৯/সিএস/১০১২/ডেটেড২১.৩.১২। তথ্য বলছে ওই প্রকল্পেও কাজ শুরু হয়েছে মাত্র এক তৃতীয়াংশ। অথচ তারপরও বারবারই জঙ্গলমহলের উন্নয়নের দাবি করে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

.