ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে আত্মসমর্পণ ৪ মাওবাদীর

জঙ্গলমহল উত্সবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার উদ্দশ্যে বুধবারই ঝাড়গ্রাম পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে জঙ্গলমহল উত্‍সব প্রাঙ্গণে পৌঁছলেন তিনি।

Updated By: Jan 12, 2012, 12:44 PM IST

জঙ্গলমহল উত্সবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার উদ্দশ্যে বুধবারই ঝাড়গ্রাম পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে জঙ্গলমহল উত্‍সব প্রাঙ্গণে পৌঁছলেন তিনি। এদিন উত্‍সব মঞ্চেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেন সিপিআই (মাওবাদী)-র চার স্কোয়াড সদস্য- বাদল মাহাতো, বিকল্প ওরফে করণ কৈবর্ত, লম্বোদর মাঝি এবং ভজহরি মাহাতো। এঁদের মধ্যে বাদল মাহাতো পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। বাকি তিন জন পুরুলিয়ার।
আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পরিবারের হাতে পুনর্বাসন প্রকল্পের অর্থ তুলে দেন তিনি। অর্থসাহায্য দেন বেশ কিছু বাছাই করা ক্লাবকেও। এছাড়া জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের জন্য জেলা পুলিস আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী দল-সহ অংশগ্রহণকারী সব দলকে পুরস্কৃত করেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহল উত্‍সবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এদিন জঙ্গলমহলের যুবসমাজের সামনে স্বামী বিকেকানন্দর আদর্শের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মাওবাদী উপদ্রুত তিন জেলার জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কিছু প্রকল্পেরও ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন ভাষণে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী ও সমালোচকদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন,  রাজ্যসরকারের প্রথম সাত মাসেই কাজের খতিয়ান নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা মন্তব্য, ৩৫ বছর পর সরকারের কাজ নিয়ে কথা বলতে আসবেন। আমরি কাণ্ডে অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না বলেও এদিন জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহলে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক তৈরির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ায়ের জন্য পুলিসে নিয়োগের পর এবার সরাসরি গ্রামের মানুষকে নগদ পুরস্কার দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। সরকারি উদ্যোগেই এই ব্যবস্থাপনার পোষাকি নামকরণ হয়েছে বিবেক গ্রাম। পুরস্কার স্বরূপ জঙ্গলমহলের সাতটি গ্রামকে বৃহস্পতিবার পাঁচ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের দুধিয়াশোল , ২ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তা, নয়াগ্রামের বাছুরখয়ার, ঝাডগ্রামের রাধানগর, বিনপুরের এক নম্বর ব্লকের নেতাই, বাঁকুড়ার রানিবাঁধের সুতান, পুরুলিয়ার বলরামপুরের খুনতাঁড়। রাধানগর গ্রামকে বিবেক গ্রাম হিসেবে চিহ্ণিত করায় আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং জনজাগরণ মঞ্চের নেতারা।
 
এদিন আত্মসমর্পণকারী ৪ জন ও আগে মহাকরণে আত্মসমর্পণকারী জাগরী বাস্কে ও রাজারাম এবং দুর্যোধন রাজোয়ারের হাতে দেড় লক্ষ টাকা করে স্থায়ী আমানত তুলে দেওয়া হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে লাভ হবে না।

.