চা-শ্রমিকরা অপুষ্টিতে আক্রান্ত মানল স্বাস্থ্য দফতর
শুধু ঢেকলাপাড়া চা বাগান নয়, কমবেশি সব বাগানের শ্রমিকরাই অপুষ্টিতে আক্রান্ত বলে স্বীকার করে নিল স্বাস্থ্য দফতর। অপুষ্টিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানতে ঢেকলাপাড়া চা-বাগানে সমীক্ষা করতে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পরবর্তীকালে অন্য চা-বাগানগুলিতেও সমীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
শুধু ঢেকলাপাড়া চা বাগান নয়, কমবেশি সব বাগানের শ্রমিকরাই অপুষ্টিতে আক্রান্ত বলে স্বীকার করে নিল স্বাস্থ্য দফতর। অপুষ্টিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানতে ঢেকলাপাড়া চা-বাগানে সমীক্ষা করতে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পরবর্তীকালে অন্য চা-বাগানগুলিতেও সমীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
২০০৫ সাল থেকে বন্ধ জলপাইগুড়ির ঢেকলাপাড়া চা বাগান। কোনও মতে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করছিলেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতিই আরও করুণ হয়ে ওঠে সরকারি উদাসীনতায়। জুলাইয়ের পর থেকে প্রশাসনের লালফিতেয় বাঁধা পড়ে বন্ধ হয়ে যায় চা-বাগান শ্রমিকদের বিধবা এবং বার্ধক্যভাতা। এর পর গত ৭ মাসে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু। ঢেকলাপাড়া অবশ্য ব্যতিক্রম নয়। জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ চা-বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা একই রকম করুণ, অবশেষে তা স্বীকার করে নিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরও।
অপুষ্টির শিকড় কতটা গভীর তা জানতে ঢেকালাপাড়া চা বাগানে মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শীঘ্রই ঢেকলাপাড়াসহ জলপাইগুড়ির বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে। বাগানের হাসপাতালে একজন স্থায়ী চিকিত্সক নিয়োগের কথাও ভাবছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।