ফেলো কড়ি মাখো তেল, ঘুঁষ দিলেই মিলছে সরকারি প্রকল্পের টাকা
কথায় আছে, ফেলো কড়ি মাখো তেল। কিন্তু কড়ি ফেলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বারবার পাওয়া? তেমনই হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চেয়েতে। প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানের কারসাজিতে অনেকেই বারবার পেয়েছেন ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা।
ওয়েব ডেস্ক: কথায় আছে, ফেলো কড়ি মাখো তেল। কিন্তু কড়ি ফেলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বারবার পাওয়া? তেমনই হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চেয়েতে। প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানের কারসাজিতে অনেকেই বারবার পেয়েছেন ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা।
রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এগারোটি গ্রাম সংসদের অনেকেই বারবার পাচ্ছেন ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা। তথ্যের অধিকার আইনে প্রশ্ন করে এমনটাই জানা গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের ঘুঁষ দিলেই মিলছে সরকারি প্রকল্পের টাকা।
এতো কড়াকড়ি, আইন থাকা সত্বেও একই ব্যক্তিকে কীভাবে বারবার পাচ্ছেন সরকারি প্রকল্পের টাকা? সদুত্তর দিতে পারেননি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কর্ণদেব বর্মণ। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
নিয়ম অনুযায়ী, ইন্দিরা আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর ঘর হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ব্লক প্রশাসনের। এরপরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার কথা উপভোক্তাদের। কিন্তু রামকৃষ্ণপুর কার্যত এর ব্যতিক্রম। পঞ্চায়েত স্তরে নির্ধারিত তালিকা পঞ্চায়েত সমিতির হাত ঘুরেই চূড়ান্ত সীলমোহর পায়। তাহলে এত বড় অনিয়মের কেন কোনও টের পেল না ব্লক প্রশাসন? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে।