বাদশাহী রোডের জঙ্গি ডেরায় শৌচাগারের লুকনো বাঙ্কার থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড
এনআইএর দুই স্নিফার ডগ চিনিয়ে দিল লুকোনো বারুদের ভান্ডার।
ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর কেটে গেছে ১৪ দিন। এর মধ্যে বাদশাহী রোডের জঙ্গি ডেরায় একাধিক বার তদন্ত চালিয়েছে জেলা পুলিস ও সিআইডি। মেলেনি কিছুই। অথচ আজ সেই বাড়ি থেকেই বস্তাবন্দি ২৫টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করল এনআইএ। শৌচাগারের ওপরে গোপন বাঙ্কারে রাখা ছিল সেই সব বিস্ফোরক। এনআইএর দুই স্নিফার ডগ চিনিয়ে দিল লুকোনো বারুদের ভান্ডার।
খাগড়াগড় থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দুরে বাদশাহী রোড মাঠপাড়া। এখানেই ছিল জঙ্গিদের আরেকটা ঘাঁটি। এনআইয়ের তল্লাসিতে এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল বস্তা বোঝাই হ্যান্ড গ্রেনেড। এর আগে এই বাড়িতেই একাধিকবার জেলা পুলিস ও সিআইডি যৌথ তল্লাসি চালিয়েছে। মেলেনি কিছুই। অথচ এনআইএ-র তল্লাসিতে সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল প্রচুর হ্যান্ড গ্রেনেড।
কীভাবে হ্যান্ড গ্রেনেডের সন্ধান পেল এনআইএ টিম? তদন্তের নায়ক দুই স্নিফার ডগ। তাদের দেখানো পথেই ঘরের মধ্যে লুকনো কুঠুরির সন্ধান পায় এনআইএ।
দেখা গেল বাঙ্কারে হ্যান্ড গ্রেনেডের স্তুপ-
----------------------
বাড়ির মধ্যে একটি শৌচাগারের অস্বাভাবিক গড়ন দেখেই সন্দেহ দানা বাঁধে গোয়েন্দাদের। শৌচাগারটি মেঝের থেকে অনেকটা নীচে। এতেই সন্দেহ আরও জোরালো হয় গোয়েন্দাদের। সঙ্গে থাকা স্নিফার ডগরাও সংকেত দিতে থাকে বিপদের। সাধারণভাবে ধরা না পড়লেও বিশেষ তল্লাসিতে শৌচালয়ের ওপরেই সন্ধান মেলে লুকনো বাঙ্কারের। বাঙ্কারে তল্লাসি চালাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর হ্যান্ড গ্রেনেড।
গ্রেনেড সতর্কতা
-----------------
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে সেন্ট্রাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিম। সতর্ক করে দেওয়া এলাকার বাসিন্দাদের। বাড়ি লাগোয়া বেশকয়েকটি বাড়ি পুরো ফাঁকা করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন এনআইএ-র ডিআইজি অনুরাগ তঙ্কা ও জেলা পুলিস সুপার এসএমএইচ মির্জা।
বাদশাহী-বিস্ফোরণ যোগ
------------
বাদশাহী রোডের এই বাড়িতেই থাকত রেজাউল করিম ও তার বাবা মন্টু শেখ। বিস্ফোরণে জখম আবুল হাকিমের হাতে লেখা একটি নম্বর থেকেই রেজাউলের নাম উঠে আসে। তদন্তে জানা যায় বিস্ফোরণের অন্যতম পাণ্ডা শাকিল গাজির ঘনিষ্ঠ ছিল রেজাউল।
বাদশাহী বাড়ির বৃত্তান্ত
----------------
বছর দেড়েক আগে তৈরি হয়েছিল এই বাড়ি। রেজাউল কয়েকমাস আগে এসে উঠেছিল এই বাড়িতে।
বেপাত্তা রেজাউল
---------------
পেশায় রাজমিস্ত্রী রেজাউল করিম ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। রেজাউলের মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতেও তল্লাসি হয়েছে।রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে ত খোজ মেলেনি রেজাউল শেখ ও তার বাবা মন্টু শেখের।