রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যত্‍ বিশ বাঁও জলে

নতুন সরকারের বয়স ৭ মাস পেরিয়েছে। এর মধ্যেই শিল্পায়ণকে ঘিরে দাবি পাল্টা দাবিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গত ৭ মাসে শিল্পায়নে প্রশ্নাতীত সাফল্য এসেছে। তাঁর বক্তব্য, লগ্নিতে আন্তরিক হলে জমি সমস্যা হবে না। যদিও, বাস্তব অন্য কথা বলছে। জমিনীতির জটে আটকে রাজ্যের শিল্পায়ণের ভবিষ্যত্‍। নতুন বিনিয়োগ তো দুর অস্ত, জমিনীতির কারনেই থমকে আছে আগের সরকারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

Updated By: Jan 10, 2012, 11:46 PM IST

নতুন সরকারের বয়স ৭ মাস পেরিয়েছে। এর মধ্যেই শিল্পায়ণকে ঘিরে দাবি পাল্টা দাবিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গত ৭ মাসে শিল্পায়নে প্রশ্নাতীত সাফল্য এসেছে। তাঁর বক্তব্য, লগ্নিতে আন্তরিক হলে জমি সমস্যা হবে না। যদিও, বাস্তব অন্য কথা বলছে। জমিনীতির জটে আটকে রাজ্যের শিল্পায়ণের ভবিষ্যত্‍। নতুন বিনিয়োগ তো দুর অস্ত, জমিনীতির কারনেই থমকে আছে আগের সরকারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।  
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে প্রায় ৭,৪২০ একর জমিতে ইস্পাত শিল্পতালুক গড়তে চেয়েছিল পূর্বতন সরকার। তাদের আমলেই সেই লক্ষ্যে ২,৯১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। নতুন সরকারের আমলে বন্ধ অধিগ্রহণ। ফলে, ৭ হাজার প্রত্যক্ষ ও ৩০ হাজার পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে। এই শিল্পতালুকে জমি দেওয়া হয়েছিল জয় বালাজি ইন্ডাস্ট্রিজ, আধুনিক কর্পোরেশন, শ্যাম স্টিল ও ডিপিএসসি লিমিটেডকে। শিল্পতালুকে জয় বালাজি গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। ৩,৪০০ একর জমির প্রয়োজন হলেও সংস্থার হাতে এসেছে মাত্র ১০০০ একর জমি। আধুনিক কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ সাত হাজার দুশো কোটি টাকা। দু হাজার তিনশো একর জমির প্রয়োজন হলেও পাঁচশো ছয় একর জমি এসেছে সংস্থার হাতে। ৩,৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল শ্যাম স্টিল। আঠারোশো একর জমি চেয়ে তারা হাতে পেয়েছে ছশো দশ একর জমি। রঘুনাথপুর শিল্পতালুকে বিদ্যুত্‍ কেন্দ্র গড়ার জন্য ৩,০২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ডিপিএসসি লিমিটেড। ৩৬০ একর জমির প্রয়োজন হলেও পাওয়া গেছে একশো ৫৫.১ একর জমি। 
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রস্তাবিত লৌহ ইস্পাত প্রকল্পগুলোকে এখনও জমির অনুমতি সত্ত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি অসহযোগীতায় অনিশ্চিত এই তিনটি প্রকল্পের ভবিষ্যত্‍। ৫৪০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র গড়ার কথা ছিল ডিপিএসসির। কম জমি পাওয়ার কারনে বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রের উত্‍পাদন ক্ষমতা অর্ধেক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।  
অর্থাত, ৩০ হাজার কোটি টাকার রঘুনাথপুর শিল্পতালুকের সামনে এখন একটাই প্রতিবন্ধকতা। সেই প্রতিবন্ধকতা জমি।
 
 

.