মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার শিবপুরের অপহৃত ইঞ্জিনিয়ারের, গ্রেফতার ৫
মাটি খুঁড়ে অবশেষে উদ্ধার করা হল শিবপুরের অপহৃত ইঞ্জিনিয়ার রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়ের দেহ। সন্দেশখালির কানমারির মেছোভেড়িতে উদ্ধার হয়েছে তাঁর পচা-গলা দেহ। ঘড়ি, জামা, জুতো, বেল্ট দেখে দেহটি সনাক্ত করেন তাঁর মেয়ে।
কলকাতা: মাটি খুঁড়ে অবশেষে উদ্ধার করা হল শিবপুরের অপহৃত ইঞ্জিনিয়ার রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়ের দেহ। সন্দেশখালির কানমারির মেছোভেড়িতে উদ্ধার হয়েছে তাঁর পচা-গলা দেহ। ঘড়ি, জামা, জুতো, বেল্ট দেখে দেহটি সনাক্ত করেন তাঁর মেয়ে।
অপহৃত হওয়ার প্রায় দু মাসের মাথায় অবশেষে মিলল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, হাওড়ার শিবপুরের প্রসন্ন দত্ত লেনের বাসিন্দা রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়ের দেহ। পুলিস অপহরণের তদন্ত শুরু করার পরই ধীরে ধীরে সামনে আসে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা। ধরা পড়ে পাঁচ জন। তাঁদের জেরা করে জানা যায়, খুনের পর সন্দেশখালির একটি জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়েছে রজতবাবুর দেহ। সেইমতো অভিযান চালিয়ে কানমারির মেছোভেড়িতে উদ্ধার হয়েছে তাঁর পচা-গলা দেহ। ঘড়ি, জামা, জুতো, বেল্ট এই সমস্ত দেখেই দেহটি সনাক্ত করেন তাঁর মেয়ে রণিতা মুখার্জি। বসিরহাটের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ খুঁড়ে বের করা হয়।
দেহ ঠিক কোথায় পুঁতে দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গাটি চিহ্নিত করতে এই হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত রঞ্জিত মাইতি এবং বাবলু মানাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। গোয়েন্দা দফতরের দুই অফিসারও দেহ তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুভেন্দু দে ওরফে পার্থ। মেয়ে রনিতার সঙ্গে শুভেন্দুর প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রজতশুভ্র মুখার্জি। সেই কারণে অপহরণের দিন রাতেই তাকে খুন করে সন্দেশখালির মেছোভেড়িতে দেহ পুঁতে দেয় দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু দে সহ এই হত্যাকাণ্ডে ধৃত পাঁচজন আপাতত পুলিস হেফাজতে রয়েছে।