প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি মেদিনীপুর, বীরভূম

প্রবল বর্ষণে ভাসছে মেদিনীপুর, বীরভূম। রাতভর বৃষ্টিতে ডুবে রয়েছে কাঁথি। দীঘায় জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কিত পর্যটকরা। রসুলপুর নদীতে জোয়ারের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির ফলে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল।

Updated By: Aug 8, 2014, 05:30 PM IST
প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি মেদিনীপুর, বীরভূম

ব্যুরো রিপোর্ট: প্রবল বর্ষণে ভাসছে মেদিনীপুর, বীরভূম। রাতভর বৃষ্টিতে ডুবে রয়েছে কাঁথি। দীঘায় জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কিত পর্যটকরা। রসুলপুর নদীতে জোয়ারের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির ফলে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল।

সাগর  ফুঁসছে। দীঘাতে  প্রবল জলোচ্ছ্বাস। সমুদ্র উপকূলের তাজপুর, জামরা, শঙ্ককপুর এলাকা জলমগ্ন। পূর্ব মেদিনীপুরের  ফুলেশ্বর, ভোবাবেড়িয়া, আঁউরাই, শরদা এলাকা প্লাবিত হয়েছে বৃষ্টির জলে। মগরা খালের বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলে ঢুবে রয়েছে কাঁথির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় লক্ষাধিক চাষজমি জলের তলায়। বহু বাড়িতে জল ঢুকেছে। কাঁথি হাসপাতাল চত্বরেও জল জমেছে।

প্লাবিত পূর্ব মেদিনীপুরের মরিশদার দশমাইল গ্রাম। অতি বৃষ্টি, তার ওপর রসুলপুর নদীতে জোয়ারের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রশাসনের তরফে ত্রানের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিবাদে শুক্রবার পথে নামেন তাঁরা। দিঘা-নন্দকুমার সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা।

ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির ফলে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল। বীরভূমের খয়রাশোলে  জলমগ্ন ষাট নম্বর জাতীয় সড়ক। এদিন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। স্থানীয়ভাবে কোনও লকগেট  না থাকায় নদী ছাপিয়ে যে জল আসছে, তা  আটকানোর কোনও উপায় নেই।  ফলে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

 

.