গায়ের জোরে ভেড়ি দখল তৃণমূলের
স্রেফ গায়ের জোরে সরকারি জমিতে থাকা একশো বিঘা ভেড়ির দখল নিয়ে নিল তৃণমূল। তাও আবার দলীয় প্যাডে লেখা চিঠি দিয়ে। অভিযুক্তের কাঠগড়ায় মিনাখাঁর বামনপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কমিটি। স্থানীয় বিধায়ক উষারাণী মণ্ডল থেকে পঞ্চায়েত প্রধান আয়ুব গাজী, সবার কাছেই অভিযোগ নিয়ে ছুটে গেছেন স্থানীয় মাছচাষীরা। কী হল এরপর? মিলল কোনও সুরাহা? এনিয়েই চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
ব্যুরো রিপোর্ট: স্রেফ গায়ের জোরে সরকারি জমিতে থাকা একশো বিঘা ভেড়ির দখল নিয়ে নিল তৃণমূল। তাও আবার দলীয় প্যাডে লেখা চিঠি দিয়ে। অভিযুক্তের কাঠগড়ায় মিনাখাঁর বামনপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কমিটি। স্থানীয় বিধায়ক উষারাণী মণ্ডল থেকে পঞ্চায়েত প্রধান আয়ুব গাজী, সবার কাছেই অভিযোগ নিয়ে ছুটে গেছেন স্থানীয় মাছচাষীরা। কী হল এরপর? মিলল কোনও সুরাহা? এনিয়েই চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
উত্তর চব্বিশ পরগনার মিনাখাঁর বামনপুকুরের ঘুষিঘাটা অঞ্চলে প্রায় চুয়াল্লিশটি ভেড়ি। সবমিলিয়ে জমির পরিমাণ প্রায় একশো বিঘা। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি খাস জমিতে থাকা ওই ভেড়ি জবরদখলের। তাও আবার দলের প্যাডে চিঠি দিয়ে। আমাদের হাতে এসেছে তৃণমূলের দলীয় প্যাডে লেখা সেই চিঠি, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে ওই ভেড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির দখলে থাকবে।
কিন্তু দরবারটুকুই সার। ফল হয়নি কিছুই। এমনকি ভেড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে স্থানীয় বিধায়ক উষারাণী মণ্ডল কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ মাছচাষীদের। তাঁদের দাবি, অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দিচ্ছে থানা।
ভেড়ি দখলের নির্দেশনামা দলেরই প্যাডে লেখা থাকলেও, অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। এনিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক পার্থ ভৌমিক বলেন, সবটাই মিথ্যে অভিযোগ।
এ সবকিছুর মাঝে পড়ে ভবিষ্যত নিয়ে ক্রমেই হতাশা গ্রাস করছে ঘুষিঘাটা ভেড়ির চুয়াল্লিশ জন মাছচাষীকে। যে ভেড়িতে দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর ধরে মাছ চাষ করছিলেন শঙ্কর মণ্ডল, খোকন খাড়া, প্রশান্ত ভৌমিকরা, এখন আর সেই ভেড়ির ধারেকাছেও তাঁরা ঘেঁষতে পারছেন না। কীভাবে সংসার চলবে, উত্তর জানা নেই সে প্রশ্নের।