২৪ ঘণ্টা পেরিয়েও সন্তানের মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে রাখল হাতি মা

পেরিয়ে গেছে চব্বিশটা ঘণ্টা। তবুও সন্তানের মৃতদেহ ছাড়ল না মা হাতি। আগুন জ্বালিয়ে ভয় দেখানো হল। হুলা ছুঁড়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা হল। তবু পিছু হঠল না মা। পরম মমতায় আগলে রাখল মৃত সন্তানের দেহ। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ বনকর্মীরাও। সন্তানের মৃতদেহ নিয়েই গভীর জঙ্গলে ফিরে গেল মা। হাতি-মায়ের এমন সন্তানপ্রেমের সাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়ার মেজিয়া রেঞ্জের বাঘমারা স্রোত এলাকার বাসিন্দারা। । সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সন্তান। শারীরিক দুর্বলতার কারণে জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। কিন্তু সন্তান বিয়োগের শোক মেনে নিতে পারেনি মা-হাতি। একটানা চব্বিশ ঘণ্টা মৃত সন্তানের দেহ আগলে রাখল মা।

Updated By: Apr 5, 2014, 06:01 PM IST

পেরিয়ে গেছে চব্বিশটা ঘণ্টা। তবুও সন্তানের মৃতদেহ ছাড়ল না মা হাতি। আগুন জ্বালিয়ে ভয় দেখানো হল। হুলা ছুঁড়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা হল। তবু পিছু হঠল না মা। পরম মমতায় আগলে রাখল মৃত সন্তানের দেহ। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ বনকর্মীরাও। সন্তানের মৃতদেহ নিয়েই গভীর জঙ্গলে ফিরে গেল মা। হাতি-মায়ের এমন সন্তানপ্রেমের সাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়ার মেজিয়া রেঞ্জের বাঘমারা স্রোত এলাকার বাসিন্দারা। । সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সন্তান। শারীরিক দুর্বলতার কারণে জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। কিন্তু সন্তান বিয়োগের শোক মেনে নিতে পারেনি মা-হাতি। একটানা চব্বিশ ঘণ্টা মৃত সন্তানের দেহ আগলে রাখল মা।

মর্মান্তিক দৃশ্যটি দেখে তড়িঘড়ি বনদফতরে খবর দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু হস্তিশাবকের দেহটি উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন বনকর্মীরা। কাছাকাছি গেলেই মা হাতির তাড়ায় ফিরে আসতে হয় তাঁদের। মা হাতিকে গ্রাম ছাড়া করতে কয়েকটি ঝোপে আগুন লাগানো হয়। এমনকি হুলা ছুঁড়ে ভয় দেখানো হয়। কিন্তু মৃত সন্তানের দেহ ছেড়ে এতটুকু পিছু হঠেনি মা। শেষ পর্যন্ত বনকর্মীদের হাজারো চেষ্টা ব্যর্থ করে সন্তানের মৃতদেহ নিয়েই পাশের পিংরুই জঙ্গলে ঢুকে যায় মা হাতি।

.