পূর্ব মেদিনীপুর
২০০৮ ১১ই মে ভোট হয়েছিল ২০০৮ - জেলা পরিষদ ছিল ৫৩টি ৩৬টি (তৃণমূল), বাম (১৭টি) পঞ্চায়েত সমিতি ২৫টি, আসন সংখ্যা ৬২৮ তৃণমূল -২০টি, ২টি বাম
সকাল ১১ টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পড়ল ২৩%
ভোট গ্রহণের খবর:
১. নন্দীগ্রামে উত্তেজনা, ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
২. খেজুরিতে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ।
৩. কোলাঘাটের ধর্মবের গ্রামের ভোটের লাইন কেন্দ্র করে উত্তেজনা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। ভোটগ্রহণ বন্ধ।
৪. পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় কংগ্রেসের গ্রামসভার প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই প্রার্থী বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
৫. ময়না ও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বুথ জ্যাম করার অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
২০০৮ ১১ই মে ভোট হয়েছিল
২০০৮ - জেলা পরিষদ ছিল ৫৩টি
৩৬টি (তৃণমূল), বাম (১৭টি)
পঞ্চায়েত সমিতি ২৫টি, আসন সংখ্যা ৬২৮
তৃণমূল -২০টি, ২টি বাম
তৃণমূল - ৩৭৪, কংগ্রেস -২৫, বাম -২০৪
বিজেপি-৬, নির্দল-১৯
গ্রাম পঞ্চায়েত - ২২৩টি (আসন - ২ হাজার ৮৬৩টি )
১৫২টি (তৃণমূল), ৬৮টি (বাম), নির্দল - ৩
মোট ভোটার - ২৫ লক্ষ, ৮৪ হাজার, ৬২২ জন
প্রদত্ত ভোট - ২৩ লক্ষ, ৮৫ হাজার, ২৭৫
বৈধ ভোট - ২৩ লক্ষ, ৪৭ হাজার, ৫৪২টি
মোট ৩টি স্তরের আসন ৩ হাজার ৫৪৪টি
২০১৩-
জেলা পরিষদ ৬০টি
পঞ্চায়েত সমিতি ২৫টি, আসন সংখ্যা - ৬৬১টি
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন সংখ্যা- ৩৩৭৮
বুথ সংখ্যা- ৩৯৭৭
ভোটার- ৩৯লক্ষ, ৪১হাজার, ৫৮৬ জন
পুরুষ ভোটার - ১৬,১৩,৪৩১
মহিলা ভোটার - ১৪,৬১, ১০৩
পূর্ব মেদিনীপুর ইস্যু
গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন নিয়ে ইস্যু আছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
তৃণমূলের সন্ত্রাস, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি।
বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ঠিকঠাক না পাওয়া।
বিদ্যুৎ, চাষবাস, রাস্তাঘাট।
২ হাজারের বেশি বাম সমর্থক ঘর ছাড়া।
বাম পার্টি অফিস বন্ধ বলে সমর্থকদের মিটিং মিছিল বন্ধ।
নন্দীগ্রাম ইস্যু।
কাঁথি মহকুমা ২ নং- ৭টি ব্লকের তৃণমূল চালিত ৭টি পঞ্চায়েত সমিতি, জনসংখ্যা - ১৫৬০০০
মোট ২৪টি সদস্যপদের ২০টি তৃণমূল, বামফ্রন্ট ৩টি। ৬৮০০০ জন পুরুষ ভোটার, ৫৩০০০ মহিলা ভোটার।
উত্তেজনাপ্রবণ বুথ ও গ্রাম- শুনিয়া, ছনবেড়া, কুলঞ্জরা, চোলমারি, বসন্তিয়া, চালতি, আমতলিয়া, আঁটরাই।
উন্নয়ন হয়নি, বামেদের সময়ে পরিকল্পনা ছিল। মৎস্যজীবীদের গৃহনির্মাণ হয়নি, বন্ধ হয়নি বেআইনি বৃক্ষরোপন, পঞ্চায়েতের দাদাগিরিও। বাম আমলে তৈরি মৎস্যজীবীদের সন্তানদের জন্য স্কুলও বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও রয়েছে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ও ইন্দিরা যোজনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম, টাকা নয়ছয় ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ।
তৃণমূলের আক্রমণ, অত্যাচারে ঘরছাড়া ৩৮০ জন প্রায়- শুনিয়ার ৪৬টি পরিবার, কুলঞ্জরা, আমতলিয়া, আঁটরাই, বামুনিয়া, ছনবেড়া গ্রামের মোট ৫০টি পরিবার।
পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটার সংখ্যা- ১,২১,২০০, বুথ সংখ্যা ১১৮টি।
কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতি - তৃণমূল পরিচালিত। মোট ২৪টি সদস্যপদের ১৭টি তৃণমূল, বামফ্রন্ট ৭টি। ৬৩৪০০ জন পুরুষ ভোটার, ৬২৩০০ মহিলা ভোটার।
বামেদের পরিকল্পনা রূপায়ন হয়নি- চরম পানীয় জল সংকট, বামেদের সময়ে ৫টি রিজার্ভার সহযোগে ৯৬টি গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। প্রতিটি গ্রাম বিপিএল পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ করেনি। ১৯২০টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ও ইন্দিরা যোজনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম, টাকা নয়ছয় ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ।
উত্তেজনাপ্রবণ বুথ - সম্ভাব্য বুথের সংখ্যা ১১৮। ৩৮টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। ভাজা চাউলি ১৫টি বুথ- সিজুয়া, ডুমুর বেড়্যা, দঃ নিশ্চিন্তা, শেখরপাত্রবাড়, শিউলিবাড়, ভাজাচাউলি/কানাইদীঘি। ৬টি বুথ - কাশিনগর, পূর্ব কানাইদীঘি, বেন্যাজি, গঙ্গাধরচক, কুমিরদা, শরপাই, জ্যাঠ্যাইবাড়ি প্রভৃতি। ১৬০জন মোট ভোটার।
কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতি- কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল পরিচালিত। সদস্য ২৪জন। বামফ্রন্ট ৪ জন, তৃণমূল ২০ জন। মোট জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৭২ হাজার।
মোট ভোটার - ১ লক্ষ ১১হাজার। এদের মধ্যে মৎস্যজীবী প্রায় ৩৮ হাজার। গ্রাম পঞ্চায়েত ৮টি, গ্রাম ৯২টি।
বুথ সংখ্যা - ১২১, পুরুষ ভোটার ৬১৩০০, মহিলা ভোটার ৪৯৭০০।
অনুন্নয়ন ও আত্মসাৎ- বেআইনিভাবে বালিয়াড়ি কেটে বালি বিক্রি। কাজুবাদামের বৃক্ষ নিধন। নদীবাঁধ নিয়ে দুর্নীতি। মৎস্যজীবীদের বাড়ি তৈরি হয়নি। রাস্তার কাজ হয়নি, দুর্নীতি, পানীয় জল সংকট, কৃষি ক্ষেত্রে দুর্নীতি। ১০০দিনের কাজে দুর্নীতি। কৃষকদের সরকারী বীজ সরবরাহে দুর্নীতি।
বামেদের ঘরছাড়া - ৩৫জন। মাজিলাপুট মহিষাগোট জিপি এলাকার
বামেদের দখলে - মজিলাপুট জিপি।
রামনগর -১ পঞ্চায়েত সমিতি - তৃণমূল পরিচালিত- সদস্য সংখ্যা ২৭, গ্রাম পঞ্চায়েত - ৯। জনসংখ্যা -- ১৪২,৪০০।
ভোটার- ১,১৮,৩২০ বুথ - ১২১টি , পুরুষ ভোটার ৫৬২১০, মহিলা ভোটার ৬২১১০।
দিঘায় বেআইনি হোটেল - বাড়ি তৈরিতে দুর্নীতি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়। মৎস্যজীবী ও শঙ্খ শিল্পে দুর্নীতি। সমুদ্র বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি। শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণিতে হোটেল নির্মাণে বেআইনি ছাড়পত্র।
রামনগর -২ পঞ্চায়েত সমিতি - মোট জনসংখ্যা -১,৫৫,৯৬৭, মোট ভোটার - ১,৭,১২৮
বুথ সংখ্যা আগে ছিল -১১৯, এবার বেড়ে হয়েছে - ১৩৮
গ্রাম পঞ্চায়েত ৩৮টি ।
খেজুরি - ১ পঞ্চায়েত সমিতি - পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ২০জন, ১৭জন বামফ্রন্ট, ৩ জন তৃণমূল । ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত
১। টিকাশি, ২। হেঁড়িয়া , ৩। লাখি, ৪। বীরবন্দর, ৫। কলাগেছি, ৬। কামারদা
ভোটার সংখ্যা - ৭৩২২১
মোট জনসংখ্যা- ৯০৩২০, বুথ - ৭৬
১। এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি - গায়ত্রী দাস সহ কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যরা ঘরছাড়া। বিডিওর অধীনে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালিত হওয়ায় রাস্তাঘাট সবরকমের উন্নয়ন থমকে গেছে।
২। গোটা এলাকার প্রায় ৮ জন বাম নেতা, কর্মী ঘরছাড়া । ঘরে ফেরানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাছে আবেদন থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।
খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি - বুথ সংখ্যা - ১০৭, এবার প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু ২টি করে বেড়েছে।
ভোটার সংখ্যা - ৮৫,২০০
মোট জনসংখ্যা- ১,৩০,৮০০