আরও ঠিক কত? সময় যত গড়াচ্ছে পাল্লা দিয়ে সন্ধান মিলছে প্রণব অধিকারীর কালো টাকার পাহাড়ের
সময় যত গড়াচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রণব অধিকারীর কালো টাকার পাহাড়। বাড়ির পর এবার হদিশ মিলল তাঁর আরও পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের অনুমান, প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই বিপুল টাকা ও সোনার গয়না লুকিয়ে রেখেছেন প্রণব। ২১ কোটি ৮ লক্ষ। আজ আবার তাকে সঙ্গে করেই হবে তল্লাসি।
ব্যুরো: সময় যত গড়াচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রণব অধিকারীর কালো টাকার পাহাড়। বাড়ির পর এবার হদিশ মিলল তাঁর আরও পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের অনুমান, প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই বিপুল টাকা ও সোনার গয়না লুকিয়ে রেখেছেন প্রণব। ২১ কোটি ৮ লক্ষ। আজ আবার তাকে সঙ্গে করেই হবে তল্লাসি।
আরও কত? আর ঠিক কত টাকা লুকিয়ে রেখেছেন প্রণব অধিকারী? ভেবে কূল পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। বাড়ির পর এবার হদিশ মিলেছে তাঁর ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের।
প্রণব অধিকারীর ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ।
তদন্তকারীদের অনুমান, প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই প্রচুর পরিমানে টাকা ও সোনার গয়না জমা রেখেছেন প্রণব। আপাতত অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সময়ের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কালো টাকার পাহাড়। আর তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে, বিপুল কালো টাকার মালিক কি শুধুই প্রণব ?
টাকা কার? কুড়ি বছর ধরে লিলুয়া এলাকায় বহুতলের নকশা অনুমোদনে একচেটিয়া দুর্নীতি করেছেন প্রণব।
পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী স্কোয়ার ফুট পিছু ৩৫ টাকা করে কর দেওয়ার কথা।
প্রণব অধিকারী স্কোয়ার ফুট পিছু ১০০-১৫০টাকা করে নিতেন
প্রোমোটারকে আশ্বাস দিতেন বিল্ডিং তৈরির পর টাকা দিলেই চলবে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বিল্ডিং মিউনিসিপ্যালিটি রুলও মানা হত না বহু ক্ষেত্রেই। কিন্তু, কুড়ি বছরের দুর্নীতিতেও সামান্য পুর আধিকারিকের পক্ষে বিপুল এই টাকা জমানো সম্ভব? নাকি বড় কোনও চক্রের প্রণব একটা অংশমাত্র? বড় কারোও সাহায্য ছাড়া আদৌ কি এতবড়মাপের দুর্নীতি সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁরা কাঠগড়ায় তুলছেন বিদায়ী পুর চেয়ারম্যানকে।
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তুলছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান অরুনাভ লাহিড়ি। বিপুল অঙ্কের দুর্নীতির কেন্দ্রে পৌছতে তদন্তকারীদের তুরুপের তাস এখন প্রণব অধিকারীই। জেরায় এরমধ্যেই বেশকয়েকজন আধিকারিকের নাম বলেছেন প্রণব। তাঁর কথামতো শনিবার রাতে বেলুড়ে বাসুদেব দাস নামে বালি পুরসভার আরেক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাসি চালান ACB অফিসাররা। কিন্তু, এখনও অধরা বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর।