ছেলে তাড়িয়ে দিয়েছিল বাড়ি থেকে, ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে অসহায় মায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে জেলা পুলিস সুপার
ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর পথই ঠিকানা হয়েছিল কাটোয়ার সাহেববাগানের বাসিন্দা উমা দাসের। ২৪ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পর উদ্যোগী হন জেলার পুলিস সুপার। উমা দাসের চিকিত্সা চলছে নার্সিংহোমে। চব্বিশ ঘণ্টার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কাটোয়ার মানুষ। সকলেই চাইছেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন উমা দেবী। প্রশাসন তাঁর থাকা খাওয়ার ভার নিক। এমনটাই চাইছেন এলাকাবাসী। মায়ের প্রতি কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ছেলে রাহুল দাসের কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে।
ব্যুরো: ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর পথই ঠিকানা হয়েছিল কাটোয়ার সাহেববাগানের বাসিন্দা উমা দাসের। ২৪ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পর উদ্যোগী হন জেলার পুলিস সুপার। উমা দাসের চিকিত্সা চলছে নার্সিংহোমে। চব্বিশ ঘণ্টার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কাটোয়ার মানুষ। সকলেই চাইছেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন উমা দেবী। প্রশাসন তাঁর থাকা খাওয়ার ভার নিক। এমনটাই চাইছেন এলাকাবাসী। মায়ের প্রতি কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ছেলে রাহুল দাসের কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে।
বপ্ন ছিল ছেলের সঙ্গেই কাটিয়ে দেবেন বাকি জীবন। ভরসা করে বাড়ি বিক্রির সব টাকা তুলে দিয়েছিলেন ছেলের হাতে। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে ছেলে। ঠাঁই হয়নি ছেলের সংসারে। কাটোয়ার সাহেববাগানের উমা দাসের আশ্রয় এখন ফুটপাথ।
কাটোয়ার সাহেববাগানের বাসিন্দা উমা দাস। লরিচালক স্বামীর স্বল্প রোজগারে এক ছেলে ও মেয়েকে মানুষ করার কাজে কোনও খামতি রাখেননি উমা দেবী। স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের জোয়াল নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। ছেলে কলকাতায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর বাড়ি বিক্রি করে সব টাকা ছেলের হাতে তুলে দেন উমা দেবী। স্বপ্ন ছিল ছেলের সঙ্গে কলকাতায় বাকী জীবনটা কাটিয়ে দেবেন। কিন্তু চার মাসের মধ্যেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান। টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে মাকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেয় ছেলে।
কাটোয়ার ফুটপাতই এখন ঠিকানা উমা দাসের। মাথার ওপর ছাদ নেই। হাড় হিম করা ঠান্ডায় পথে পথে ঘুরে বেড়ান। খাবার জোটে চেয়েচিন্তে। কখনও জোটে একবেলা। কখনও আবার তাও না।
সকলেই চাইছেন অসহায় ওই বৃদ্ধাকে আশ্রয় দিক কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।