দুর্গাপুর পুরনির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূল কোন্দলের ফসল ঘরে তুলতে মরিয়া বামেরা
দুর্গাপুর পুরনির্বাচনে এবার পৃথক ভাবে লড়ছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। জোট না হওয়ায় আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে দুই দলই। জোট না হওয়ার দায় নিয়েও চলছে চাপানউতোর। দু`দলই দায় চাপিয়েছে পরষ্পরের ওপর।
দুর্গাপুর পুরনির্বাচনে এবার পৃথক ভাবে লড়ছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। জোট না হওয়ায় আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে দুই দলই। জোট না হওয়ার দায় নিয়েও চলছে চাপানউতোর। দু`দলই দায় চাপিয়েছে পরষ্পরের ওপর। ওদিকে নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে, ততই অশান্ত হচ্ছে শিল্পনগরী। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ ও মারধরের একাধিক অভিযোগ উঠেছে সেখানে।
তেতাল্লিশ আসনের দুর্গাপুর পুর নিগমে ২০০৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল বামেরা। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পেয়েছিল ৬টি আসন। গত পাঁচবছরে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে রাজ্য রাজনীতিতে। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত দর কষাকষির ছবি ধরা পড়েছে দুর্গাপুরেও। পুরসভা নির্বাচনে ১২টি আসন চেয়েছিল কংগ্রেস। ১০টি আসন দিতে রাজি হয় তৃণমূল। শেষপর্যন্ত ১১ হলেই চলবে বলে জানায় কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি তৃণমূল। জোট তাই ভেস্তেই যায় দুর্গাপুর শিল্পনগরীতে। জোট না-হওয়ার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের ওপর পাল্টা দায় চাপিয়েছে তৃণমূলও। আসন্ন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দুপক্ষই।
শিল্পনগরীতে শক্ত ভিত্তি রয়েছে বলেই দাবি কংগ্রেসের। জোরদার কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনও। তবে পালের হাওয়া অটুট আছে বলে দাবি তৃণমূলের। কংগ্রেসের পাল্টা দাবি যদিও একলা চলার খেসারত দিতে হবে তৃণমূলকে।
কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট কাজিয়ায় ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে শিল্পনগরীতে ভোট প্রচারের পরিবেশ। অভিযোগ, প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য তৃণমূল চাপ তৈরি করছে কংগ্রেসের ওপর। পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া থেকে কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস-তৃণমূলের এই কাজিয়ার ফসল কি তবে ঘরে তুলতে চলেছে বামেরা। বামেদের দাবি, নির্বাচনে জয়ের জন্য তাদের কারও ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। এখন ৩ জুনের নির্বাচনে দুর্গাপুর পুর নিগমে শেষ হাসি কে হাসে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।