ধূপগুড়ি ব্লকে এখনও অমিল এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন
ভয়াবহ এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুদের মধ্যেও। জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে অনেকে। শুক্রবার জ্বরে মারা গিয়েছে এক শিশু। চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ বিস্তর। টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ধূপগুড়ি ব্লকে এখনও অমিল এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন।
ধূপগুড়ি: ভয়াবহ এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুদের মধ্যেও। জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে অনেকে। শুক্রবার জ্বরে মারা গিয়েছে এক শিশু। চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ বিস্তর। টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ধূপগুড়ি ব্লকে এখনও অমিল এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বছরের শিশু মহম্মদ সুলতানকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । উপসর্গ ছিল জ্বর, পেটে ব্যথা। রাতেই তার অবস্থার অবনতি হয়। শুক্রবার সকালে মারা যায় সুলতান। চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।
শিশুদের মধ্যেও এনসেফ্যালাইটিস ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক আরও বাড়ছে। কারণ মিলছে না প্রতিষেধক ভ্যাকসিন। নয় থেকে চব্বিশ মাস বয়সী শিশুদের এনসেফ্যালাইটিসের ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকে সেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগও বিস্তর।
এনসেফ্যালাইটিসে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে পঞ্চাশ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ধূপগুড়িতেই মারা গেছেন দশজন। আক্রান্ত তিরিশজনের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের অভাব চিকিত্সা পরিকাঠামোর বেহাল দশাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।