বাহিনী নিষ্ক্রিয় রাখার অভিযোগ বিরোধীদের

পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি। দ্বিতীয় দফাতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করার নির্দেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দ্বিতীয় দফায় যে তিন জেলায় নির্বাচন, তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বর্ধমান। নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় নিরাপত্তার ফাঁক গলে সেখানে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা।

Updated By: Jul 14, 2013, 09:20 PM IST

পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি। দ্বিতীয় দফাতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করার নির্দেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দ্বিতীয় দফায় যে তিন জেলায় নির্বাচন, তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বর্ধমান। নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় নিরাপত্তার ফাঁক গলে সেখানে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা।
রাজ্যে প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে ১১ জুলাই। ১১ তারিখের দফার ভোটের জন্য ৮ তারিখ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ শুরু করেছে। গিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। রাতে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা নেই, সেই অবস্থায় ডিউটি করেছে, ফিরে এসেছে। সেই বাহিনীকেই ফের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের জন্য পাঠানো হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাত জাগতে হচ্ছে রক্ষীদের। তার উপর এ জেলা থেকে ও জেলায় যাওয়া। ক্লান্ত হতে থাকা সেই বাহিনীকে দিয়েই হবে পাঁচ দফার ভোট। নিয়ম হল, ভোটের তিন দিন আগেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। কিন্তু এবার তা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ভোটারদের আস্থা বাড়ানো এবং নির্দিষ্ট এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে ফাঁক থেকে যাওয়ার আশঙ্কাটা থাকছেই।
 
প্রথম দফার ভোটে সত্তর শতাংশেরও বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। দ্বিতীয় দফায় যে যে জেলায় নির্বাচন হচ্ছে, সেইসব জেলার পুলিস সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খাতায় কলমে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখানো হলেও, বাস্তবিক ক্ষেত্রে যাতে ব্যবহার না করা হয়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জেলা পুলিসের বেশ কয়েকজন কর্তা। নির্দেশ না মানলে তাদের বিপাকে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
 
দ্বিতীয় দফায় যে তিন জেলায় নির্বাচন, তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বর্ধমান। এই জেলার একদিকে ভিন রাজ্যের সীমানা, অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, বাঁকুড়া জেলার সীমানা। এর মধ্যে যে এলাকায় ভোট হয়ে গেছে বা এলাকায় ভোট পরে আছে, সেসব জায়গা থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকছে বলে অভিযোগ। সেখানে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়নি।
১. অর্থাত্, ভোটারদের আস্থা বাড়ানো এবং নির্দিষ্ট এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ হয়নি। 
২. সীমানায় নজরদারি হয়নি
৩. আদালতের নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বাহিনী মোতায়েন হয়নি।
 
বিরোধীদের অভিযোগ, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বিধি অনুযায়ী নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনায় অনেকটাই ফাঁক থেকে গেল।

.