খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ফের অসৌজন্যের রাজনীতি
গতমাসে সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিতর্ক সৃষ্টি করবার পর ফের একই সুরে সিপিআইএম-কে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রবিবার মধ্যমগ্রামে এক দলীয় সমাবেশে ফের সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে যাবতীয় সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ডাক দিলেন তিনি।
গতমাসে সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিতর্ক সৃষ্টি করবার পর ফের একই সুরে সিপিআইএম-কে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রবিবার মধ্যমগ্রামে এক দলীয় সমাবেশে ফের সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে যাবতীয় সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ডাক দিলেন তিনি। সিপিআইএম পরিবারে নিমন্ত্রণ বাড়ি যেতে নিষেধ করার পাশাপাশি এদিনের সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, "ওদের (সিপিআইএম) ঘ্রাণ শুঁকে আপনি বিষাক্ত হয়ে যাবেন।"
স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর এই মন্তব্যে আরও একবার সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী `রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্ত দিক থেকেই বিপজ্জনক` বলে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র খাদ্যমন্ত্রীর উক্তিকে `ঘৃণ্য রাজনীতির পরিচায়ক` বলে উল্লেখ করেন।
এর আগেও তাঁর এধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়। গতমাসের ১৭ তারিখ উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ার সপ্তগ্রাম হাইস্কুলের ময়দানে তৃণমূলের এক কর্মীসভায় সিপিআইএম কর্মীদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না রাখা, তাদের সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কথা বললেন খাদ্যমন্ত্রী। `সিপিআইএমকে ঘৃণা করুন` বলেও রাজনৈতিক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। এমনকী তৃণমূলের কর্মীদের কোনও আত্মীয় সিপিআইএম কর্মী বা সমর্থক হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ওপর ফতোয়া জারি করেন খাদ্যমন্ত্রী। ওই সম্মেলনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাবড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান তপতী দত্ত, হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বারাসাতের সাংসদ কাকলি দস্তিদার এবং আরও অনেকে।