মন্তেশ্বর উপনির্বাচনে প্রার্থী প্রত্যাহার করল কংগ্রেস
নোটের হাওয়ায় মরা ভোট। সেই ম্যাড়ম্যাড়ে ভোটেও মুখ্য হয়ে উঠল সন্ত্রাসের অভিযোগ। মন্তেশ্বর উপনির্বাচনে প্রার্থী প্রত্যাহার করল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, পুলিস প্রশাসনকে ব্যবহার করে বুথে বুথে ভোট লুঠ করেছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি শাসকদল।
ওয়েব ডেস্ক: নোটের হাওয়ায় মরা ভোট। সেই ম্যাড়ম্যাড়ে ভোটেও মুখ্য হয়ে উঠল সন্ত্রাসের অভিযোগ। মন্তেশ্বর উপনির্বাচনে প্রার্থী প্রত্যাহার করল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, পুলিস প্রশাসনকে ব্যবহার করে বুথে বুথে ভোট লুঠ করেছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি শাসকদল।
নোট কাণ্ডে সরগরম দেশ। তারই মাঝে ভোট। বুথে যেমন লাইন, লাইন ব্যাঙ্ক এটিএমের বাইরেও। এমন তাপ-উত্তাপহীন ভোটেও উঠে এল সন্ত্রাসের অভিযোগ। মন্তেশ্বর বিধানসভার আশি শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। খারিফ চাষের মরশুমে সবাই ব্যস্ত। চলছে ধান কাটা আর আলু বসানোর কাজ। সকাল সকাল ভোট দিয়ে সবাই মাঠের দিকে রওনা দেন।
সকালে ভোটগ্রহণ চলাকালীন ছটি বুথে ধরা পড়ল অনিয়মের ছবি। দেখা গেল তৃণমূলের ঝান্ডা লাগানো টোটো গাড়িতে ভোটারদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ভোটদান শেষে বাড়ি পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
এমন ঘটনায় প্রশাসনের বক্তব্য কী?
শুরু থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। মোট বুথ ২৭৭টি। তার মধ্যে মাত্র ২১টি বুথে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ২৫৬টি বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিস। বেলা গড়াতেই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে কংগ্রেস। অভিযোগ, ২৭৭টি বুথের মধ্যে ২৫৬টি বুথে কংগ্রেসের কোনও এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল।
নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি, অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। শাসক-বিরোধী সন্ত্রাসের তরজা জিইয়ে রইল ম্যাড়ম্যাড়ে উপনির্বাচনেও।