জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী

শনিবার শিলিগুড়িতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে জিটিএ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বৈঠকে দাবি জানাবে মোর্চা। তার আগে শুক্রবার উত্তরবঙ্গ উত্সবের উদ্বোধনে রোশন গিরি সহ মোর্চা নেতাদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলা ভাগ হতে দেবেন না।

Updated By: Feb 10, 2012, 11:04 PM IST

শনিবার শিলিগুড়িতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে জিটিএ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বৈঠকে দাবি জানাবে মোর্চা। তার আগে শুক্রবার উত্তরবঙ্গ উত্সবের উদ্বোধনে রোশন গিরি সহ মোর্চা নেতাদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলা ভাগ হতে দেবেন না। অনুষ্ঠানে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন। শনিবার শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
সাতাশে মার্চের মধ্যে জিটিএ চুক্তি কার্যকর না হলে, চুক্তির কপি পুড়িয়ে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের ঠিক আগে এই হুমকি দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি। ঠিক হয়, দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে জিটিএ চুক্তি কার্যকর করার দাবি জানানো হবে। শনিবার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান রোশন গিরি। শুক্রবার সন্ধেয় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে উত্তরবঙ্গ উত্সবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রোশন গিরি সহ অন্য মোর্চা নেতারা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজ্য ভাগ চান না।
উত্তরবঙ্গ উত্সবের উদ্বোধনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বঙ্গসম্মান প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সত্তরটি ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হয়। কোচবিহারে রাজবংশী অ্যাকাডেমি, মাটিগাড়ায় আইটি হাব সহ একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। এছাড়াও, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে বহু প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার, উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন, ১৮টি দফতরের মন্ত্রী ও সচিবরা। বৈঠকে, সরকারি প্রকল্পের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিডিও-দের গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেন  মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১৩ তারিখ থেকে গ্রামে ক্যাম্প করে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে জানানোর নির্দেশ দেন তিনি। জোর দেন পর্যটন, চা শিল্পের উন্নয়ন ও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বাস্তবায়নে।

.