আজ বীরভুমে মুখ্যমন্ত্রী

বীরভূম ও বর্ধমান সফরে বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। এছাড়া রেলের কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বোলপুরে একটি আইটি হাবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Jul 27, 2012, 12:01 PM IST

বীরভূম ও বর্ধমান সফরে বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। এছাড়া রেলের কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বোলপুরে একটি আইটি হাবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে মুরারইও নলহাটিতে পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস করবেন তিনি। এরপর বিকেলে ডাকবাংলো মাঠে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে ভূমিহীনদের পাট্টা, ইমাম ভাতা, নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্প সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আগামিকাল তিনি যাবেন বর্ধমানে।
আজই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে চলেছেন নানুরের নিহত তৃণমূল নেতা সোনা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যেরা। ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সোনা চৌধুরীর হত্যার ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান সোনা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে। অভিযোগ ওঠে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন হতে হয় নানুরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা এই নেতাকে। ২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করেনি পুলিস। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তদের ধরতে তেমন উদ্যোগী হয়নি পুলিস। বারবার পুলিসের কাছে জানিয়েও কোনও ফল না মেলায় অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে চলেছেন সোনা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যেরা।

২০১১ সালের সাতাশে জুলাই নানুরের সূচপুরে সংঘর্ষে নিহত হন ১১ জন তৃণমূল সমর্থক। প্রতিবছর নানুরের বাসাপাড়া এলাকায় এই দিনটিতে শহীদ দিবস পালন করে তৃণমূল। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন প্রতিবছর এই সভায় আসতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আর আসেননি। ২৭ জুলাই বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এলেও নানুরের সভায় উপস্থিত থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বোলপুর সার্কিট হাউসে। অভিযোগ, সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুশি না হওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রীকে সার্কিট হাউসে রাখতে চান নি তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। ফলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হোটেলে। অথচ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ঘর ছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার মত যথেষ্ট সংখ্যক ঘর না ছিল না। ফলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীনিকেতনে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের অতিথি নিবাসে। সেখানে চারটি ঘর খালি করে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত করা হয়। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের তরফে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে।

.