জিততে মরিয়া তৃণমূল, পুরনির্বাচনে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল

ভোট শুরু হতেই শুরু হয়েছে অভিযোগের পালা। তির মূলত তৃণমূল কংগ্রেসর দিকে। শাসক দল প্রায় প্রতিটি পুরসভাতেই বহিরাগতদের দিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছে বামেরা। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের বহিরাগত বাহিনী।

Updated By: Jun 2, 2012, 08:06 PM IST

ভোট শুরু হতেই শুরু হয়েছে অভিযোগের পালা। তির মূলত তৃণমূল কংগ্রেসর দিকে। শাসক দল প্রায় প্রতিটি পুরসভাতেই বহিরাগতদের দিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছে বামেরা। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের বহিরাগত বাহিনী। প্রতিটি পুরসভাতেই এক বা একাধিক বুথে বাম প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও নিগৃহীত হয়েছেন পোলিং এজেন্টরা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে নলহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীকে পুলিস গ্রেফতার করায় প্রশাসনিক নিপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 
বেলা ২টো পর্যন্ত প্রতিটি পুরসভাতেই প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। তবে দূর্গাপুর ও পাঁশকুড়ায় ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫০ ও ৫৪ শতাংশ। হলদিয়ায় ৬৭ শতাংশ, নলহাটিতে ৬২ শতাংশ, কুপার্স ক্যাম্পে ৮১ শতাংশ ও ধূপগুড়িতে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর এটাই প্রথম পুরভোট। জোট না-হওয়ায় একে অপরের মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস। হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় সিপিআইএমও। সবমিলিয়ে টানটান উত্তেজনা পুর নির্বাচনকে ঘিরে। ছটি পুরসভায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সতর্ক প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুরে হলদিয়া ও পাঁশকুড়া, এই দুটি পুরসভায় ভোট।      
 
এর মধ্যে পাঁশকুড়া পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ২৬টি। প্রার্থী রয়েছেন ৯৩ জন। মোট ভোটার  ১,১৭,৪৭৭ জন। বুথের সংখ্যা ১৪৮টি।
 
অন্যদিকে, হলদিয়ায় ১৭টি ওয়ার্ডে ভোটের লড়াই। মোট ৭৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ভোটার সংখ্যা ৩৪,৭৪০। মোট ৪৩টি বুথে ভোট নেওয়া হবে।       
পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি পুরসভা মিলিয়ে প্রায় ১,৩০০ পুলিস কর্মী রয়েছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে।
------------- 
বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার ভোট ঘিরেও রয়েছে টানটান উত্তেজনা। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।  
 
দুর্গাপুর পুরসভায় ৪৩টি ওয়ার্ডে ভোট। ১৬৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৬৭,০৪০ জন। ৪৫৮টি বুথে সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
নির্বাচনে নিরাপত্তার দিক সুনিশ্চিত করতে মোট সাতটি জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়েছে প্রশাসন। মোতায়েন থাকছে ১,৪০০ পুলিসকর্মী।
 
-------------
পুরভোটের যুদ্ধে সকলের নজর রয়েছে বীরভূমের নলহাটি পুরসভার দিকে। জোট না-হওয়ায় এখানেও মুখোমুখি কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে কংগ্রেসর প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে তথা নলহাটির কংগ্রেস বিধায়ক অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায়। নলহাটি পুরসভা দখল করা কংগ্রেসের কাছে অনেকটাই সম্মানের লড়াই বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
 
মোট ১৫টি ওয়ার্ড রয়েছে এই পুরসভায়। প্রার্থী সংখ্যা ৬৭ জন। ২৬,০৮০ জন ভোটার ঠিক করবেন পুরবোর্ডের দখল কোন দলের হাতে থাকবে। ভোট নেওয়া হবে ৩০টি বুথে।
 
--------------
কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি কুপার্স ক্যাম্পে এবার লড়াই মূলত ত্রিমুখী। নদিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর সিংয়ের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চল।  
 
কুপার্স ক্যাম্প পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ১২টি। ভোটার সংখ্যা ১৩,৭৪৭ জন। প্রার্থী রয়েছেন ৪৫ জন। ১৬টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে সকাল সাতটা থেকে।
নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রয়েছে প্রশাসনের। প্রতিটি বুথেই মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিস বাহিনী। শনিবার সকাল থেকেই ইভিএম নিয়ে কর্মীরা নিজের নিজের কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান।
  
----------------
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পুরসভা জন্মলগ্ন থেকে বামফ্রন্টের দখলে। এবার এখানে পরিবর্তন আনতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস।   
 
ধূপগুড়ি পুরসভায় লড়াই ১৬টি ওয়ার্ডের দখল ঘিরে। প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। মোট ভোটারের সংখ্যা ৩০,৬৯৭। বুথ রয়েছে ৩৭টি।  
 
প্রত্যেকটি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে। উত্তেজনাপ্রবণ বুথগুলির জন্য রয়েছে দু-কোম্পানি বিশেষ বাহিনী।   
 

.