ভোট দিতে পারলেন না সিপিআইএম সাংসদ মহেন্দ্র রায়
১) উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের অতি স্পর্শকাতর বুথ। দেখা নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন দুজন রাজ্য পুলিস। যখন-তখন ভোটকেন্দ্র ঢুকে পড়ছেন প্রার্থীরা। অবাধে চলছে হুমকি। ভোটপর্ব সামলাতে হিমশিম পুলিসকর্মীরা। বুথে না থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলল চায়ের দোকানে।
চলছে পঞ্চায়েত ভোটের পঞ্চম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ। সন্ত্রাসের আবহেই আজ উত্তরবঙ্গের চার জেলা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে একযোগে শুরু হবে ভোট। অশান্তির আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলে নির্বাচন কমিশন। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ বুথে নেই কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ দফার পঞ্চায়েত ভোটের বড় খবরগুলো এক নজরে-
১) ভোট দিতে পারলেন না সিপিআইএম সাংসদ মহেন্দ্র রায়। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বুথ ঘিরে রাখার অভিযোগ। বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় মহেন্দ্র রায়কে।
২) রায়গঞ্জের অ্যালেঙ্গার শূন্যে শুলি পুলিসের। ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের। ৭ নং গৌরীগ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। কংগ্রেস অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সিপিআইএম আশ্রিত। অভিযোগ অস্বীকার সিপিআইএম।
৩) উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের অতি স্পর্শকাতর বুথ। দেখা নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন দুজন রাজ্য পুলিস। যখন-তখন ভোটকেন্দ্র ঢুকে পড়ছেন প্রার্থীরা। অবাধে চলছে হুমকি। ভোটপর্ব সামলাতে হিমশিম পুলিসকর্মীরা। বুথে না থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলল চায়ের দোকানে।
৪) সন্ত্রাসের আবহে ভোট চলছে কোচবিহারে। দিনহাটা দু নম্বর ব্লকের ভোনাটপুরে বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে তুফানগঞ্জের নাককাটিগাছ, ধলপল, মাথাভাঙার শিকারপুর, সিতাই, পাতলাখাওয়ার একাধিক বুথে বিরোধী প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অনেক জায়গায় বিরোধীদের পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মাথাভাঙার পচাগড়ে সিপিআইএম প্রার্থী প্রতিমা দাসকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই একই বুথে বেশ কয়েকজন মহিলাকেও ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানানোর পর পুলিসি নিরাপত্তায় ভোট দেন তাঁরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ উঠেছে জিরনপুর, সপ্তাবাড়ি, ঘুঘুমারিতে। বাকি চারদফার মত পঞ্চম দফাতেও একটি কেন্দ্রে একটি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। কোনও নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াই ভোট চলছে মেখলিগঞ্জের বিভিন্ন বুথে।
৫) কোথাও বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা। কোথাও বুথ জ্যাম ও ছাপ্পার অভিযোগ। এসবের মধ্যেই চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভোটগ্রহণ। গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর, বিশরাইল, বিকর, ফতেপুর এই চারটি জায়গার পনেরো থেকে ষোলোটি বুথে বুথ জ্যাম ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি বুথে সিপিআইএমের পোলিং এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।