সাংবাদিক পিটিয়ে কর্মবিরতিতে বর্ধমানের দায়িত্বজ্ঞানহীন জুনিয়র ডাক্তাররা
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধরনায় বসেন সাংবাদিকরা। বুধবার সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে বুধবার রাত থেকেই হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে চিকিত্সা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন রোগীরা।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধরনায় বসেন সাংবাদিকরা। বুধবার সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে বুধবার রাত থেকেই হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে চিকিত্সা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন রোগীরা।
রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর। ছবি তুলতে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিস প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন সাংবাদিকরা। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে জেলাশাসককে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে জেলা জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন সাংবাদিকরা। কাটোয়া প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে মহকুমাশাসকের কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জুনিয়র ডাক্তাররাই বুধবার রাত থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কোনও বিভাগেই কাজে যোগ দেননি তাঁরা। ফলে ব্যাহত হয়েছে হাসপাতালের চিকিত্সা পরিষেবা। বর্হিবিভাগের সামনে লম্বা লাইন। দূর-দূরান্ত থেকে এসেও ডাক্তার না-দেখিয়ে ফিরে গেছেন অনেকে। কর্মবিরতির জেরে বন্ধ জরুরি অস্ত্রোপচারও।
যদিও সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামানিক।
জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মবিরতির নিন্দা করেছেন হাসপাতালের কর্মীদের একাংশও।
এর আগেও সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। তখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়ায় জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকেও ঘটনার প্রতিবাদে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।