বাঁকুড়া
পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৩
বাঁকুড়ায় সকাল থেকে ভোট পড়েছে ৫১%
বাঁকুড়ার ভোটের খবর এক নজরে-
১. বাঁকুড়ার ছাতনায় বুথের বাইরে পুলিসের লাঠিচার্জ। বহিরাগতদের জমায়েত ছাতনার এই বুথে
২. প্রথম দফার নির্বাচনের দিনই আক্রান্ত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সিপিআইএম প্রার্থী। বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার আউসনাড়া বুথে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন সিপিআইএম প্রার্থী শান্তনা বাগদী। মারধর করা হয় ওই বুথেরই গ্রাম সিপিআইএমের পোলিং এজেন্ট বিশ্বনাথ বাগদীকে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
৩. ব্যালটে প্রতীক বিভ্রাট। এর জেরে বাঁকুড়ার রাইপুরের শ্যামসুন্দরপুরের একটি বুথে বন্ধ রয়েছে ভোটগ্রহণ। এই বুথে কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন পাল্টে গিয়েছে। কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্ন রয়েছে ঘাসফুল এবং তৃণমূলের প্রতীক রয়েছে হাত। যত দ্রুত সম্ভব ভোটগ্রহণ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৩
আসন সংখ্যার বিন্যাস-
১)১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত: আসন সংখ্যা-২৫০৫টি (২০১৩), ২১৭৯টি (২০০৮)
২)২২ টি পঞ্চায়েত সমিতি: আসন সংখ্যা-৫৩৫ টি (২০১৩), ৪৯৬ টি (২০০৮)
৩) ১ টি জেলা পরিষদ: ৪৬ টি (২০১৩), ৪৩ টি (২০০৮)
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা:
গ্রাম পঞ্চায়েত-
১২০(সিপিআইএম)
৭(বাম)
১৮(তৃণমূল কংগ্রেস)
১(কংগ্রেস)
৮(জেকেপি(এ)+জেকেপি(এন)+জেএমএম+জেজেএমএম+কংগ্রেস+তৃণমূল কংগ্রেস)
১১(সিপিআইএম+তৃণমূল কংগ্রেস, সমান সমান)
২০(কোনো দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি)
৫(তৃণমূল জোট)
পঞ্চায়েত সমিতি-২২টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই বামফ্রন্ট
জেলা পরিষদ-বামফ্রন্ট
মোট ভোটার-২২,৫৩,৪০৪ -৯২৮/বাজার
মহিলা ভোটার-১০,৮২,৮০২
পুরুষ ভোটার-১১,৭০,৬০২
মোট বুথ-৩০০৪(মেন), ৬(অক্সিলারি)
অতি উত্তেজনা প্রবণ বুথ-১২৮৬ টি
উত্তেজনা প্রবণ বুথ-১০৭৪ টি
অপেক্ষাকৃত কম উত্তেজনা প্রবণ বুথ-৩৪৮ টি
সাধারণ-৩০২ টি
পঞ্চায়েত সমিতি: ইস্যু ২০১৩-
বাঁকুড়া(১)- বামফ্রন্টের ১৭ আসন মূলত শহর লাগোয়া কৃষিপ্রধান অঞ্চল। পানীয় জল এই এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা। এছাড়াও সেচের জল, সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি। ১০০ দিনের কাজ সেভাবে মেলেনি। রাস্তাঘাটের অনুন্নয়ন, ধানের দাম পাননি কৃষকেরা, সর্বোপরি চিটফান্ড কাণ্ডে প্রতারণা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। কুটির শিল্পে নানাবিধ সমস্যাও এই এলাকার অন্যতম ইস্যু।
বাঁকুড়া(২)- বামফ্রন্টের ২০ আসনে বাসিন্দাদের মূল জীবিকা কৃষিকাজ। পানীয় জল, সেচের জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। গন্ধেশ্বরী নদীর ভাঙন, ধানের দাম না মেলা, ডোকরার মতো কুটিরশিল্পের করুণ অবস্থা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিষ্ণুপুরে বামফ্রন্টের ২৬ টি আসন। এই এলাকার হাতির সমস্যা মোকাবিলায় ব্যার্থতা। প্রায়শই ফসল ও জীবনহানি। দীর্ঘ ২ বছর ধরে তৃণমূলের চাপে অভিভাবকহীন গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে স্তব্ধ উন্নয়ন, শাসক দলের সন্ত্রাস, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে গুরুত্বহীনতা, পর্যটন শিল্পের বিকাশে উল্লেখযোগ্য কাজ না হওয়া, বালুচরী, লন্ঠন, পোড়ামাটি সহ কুটির শিল্পীদের করুণ অবস্থা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তবে এই সমিতি এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিরোধীরা শাসক দলের ভয়ে প্রচারেই নামতে পারবে না। বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলী সন্ত্রাসে এই এলাকার বহু মানুষ ঘরছাড়া, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই জোর করে এলাকার পঞ্চায়েতগুলির বামপন্থী প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তৃণমূলী সন্ত্রাসে এই এলাকার বামেদের পঞ্চায়েত ভোট করা অসম্ভব।