পশ্চিম মেদিনীপুর
সাব ডিভিশন-৪টি পঞ্চায়েত সমিতি-২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত-২৯০ গ্রাম সংসদ-৩০৮৬ মোট মৌজা-৮৭০১
পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলা ২টো পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৩%
প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোটে সকাল থেকে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর মিলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। কোথাও ভোট চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া, আবার কোথাও বুথ কেন্দ্র মুখী হতে পারছেন না ভোটদাতারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোট নামচা এক নজরে-
১. ভোট দেবেন না ছত্রধর মাহাতর মা। ছেলে এখনও মুক্তি পায়নি। তাই এবার আর বুথমুখো হবেন না তিনি। সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ছত্রধর মাহাতর মা। ফের নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে জঙ্গলমহলে।
২. রমজান মাসে নির্বাচন হওয়ায় কোনও অসুবিধা হচ্ছে না বলে দাবি করলেন পশ্চিমমেদিনীপুরের সাততড়া গ্রামপঞ্চায়েতে নিযুক্ত পর্যবেক্ষক।
৩. পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঁকড়াবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের মহিলা প্রার্থী বেলা দোলাই, ইলেকশন এজেন্ট অনন্ত দোলাই সহ সিপিআইএম সমর্থকদের বাড়িতে আটক করে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ত্রাসের জেরে ভোট দিতে পারছেন না তাঁরা। পাশাপাশি ডেবরা থানার রামচন্দ্রপুর বুথে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোট না দেখালে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের।
৪. পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত ভোটে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মোহনপুর ব্লক এলাকায় একশো পনেরোটি বুথের মধ্যে নিরানব্বইটি বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। লালগড়ের ধরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা বুথ দখলের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বৈতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দামুজানা বুথ দখলের চেষ্টা হয় বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে বিরোধীরা। গোপীবল্লভপুরে বেলিয়াবেড়া থানার ছয়, সাত ও আট নম্বর বুথে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলা হয়েছে সিপিআইএমএল লিবারেশন সমর্থিত নির্দল প্রার্থী দুলেশ্বর বেরার বাড়িতে। গড়বেতার কদমডিহায় একশো ছাব্বিশ নম্বর বুথে সিপিআইএমের পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
৫. বেলদায় সিপিআইএম কর্মীদের মারধরের অভিযোগ।
৬. পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিআইএম প্রার্থী সহ আক্রান্ত ৭। অভিযোগ তৃণমূল
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কেশপুরে ২৭৩টি বুথের মধ্যে ২৪৩টি দখলের অভিযোগ।
সাব ডিভিশন-৪টি
পঞ্চায়েত সমিতি-২৯টি
গ্রাম পঞ্চায়েত-২৯০
গ্রাম সংসদ-৩০৮৬
মোট মৌজা-৮৭০১
জনসংখ্যা(২০১১)-৫৯৪৩৩০০
তফশিলি-১৮.০৫%
তফশিলি উপজাতি-১৪.৮৭%
গ্রাম পঞ্চায়েত-৯৪ টি
MGNREGA:
জব কার্ড-৮৭৯৯৮৩
বেনিফিসিয়ারী ফ্যামিলি-৩৪২০২৪
জেলা পরিষদ মোট আসন-৬৭
তফশিলি জাতি-১৩, তফশিলি উপজাতি-১১, অনগ্রসর জাতি-৯, মহিলা-৩৩
পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি পদে মোট আসন-২৯
তফশিলি জাতি-৫, তফশিলি উপজাতি-৫, অনগ্রসর জাতি-৪, মহিলা-১৪
পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি পদে আসন-২৯
তফশিলি জাতি-৩, তফশিলি উপজাতি-৫,অনগ্রসর শ্রেণী-০, মহিলা-৪
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পদে মোট আসন-২৯০
তফশিলী জাতি-৫৪, তফশিলী উপজাতি-৪৬, অনগ্রসর শ্রেণী-৪৫, মহিলা-১৪
গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান পদে মোট আসন-২৯০
তফশিলী জাতি-২৬, তফশিলী উপজাতি-৪৬, অনগ্রসর শ্রেণী-০, মহিলা-৩৬
মোট ভোটার-৩৪৭৬৮৪২
মোট বুথ-৪৭৪৭
পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন-৭৯৮
গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন-৩৮৪৬
এলাকার পঞ্চায়েত ইস্যু:
১)পঞ্চায়েতের মাধ্যমে উন্নয়ন নতুন সরকার আসার পরে প্রায় বন্ধ। গ্রামের মানুষের অধিকার গুলি ক্ষুন্ন হয়েছে।
২)ফসলের দাম পাননি কৃষক। চাষের খরচ বৃদ্ধি, ফসল কেনার ক্ষেত্রে মিল মালিকদের কাছ থেকে ফসল কেনা হয়েছে, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে হয়নি।
৩)মহিলাদের স্ব-সহায়কদলের মাধ্যমে স্ব-নির্ভর হওয়ার যে বিপুল কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল তা স্তব্ধ হয়ে গেছে।
৪)BPL তালিকা নতুন করে প্রকাশ হয়নি।
৫)১০০ দিনের কাজ প্রায় বন্ধ। যেখানে কাজ হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাকা পায়নি।
৬)প্রধানমন্ত্রীর সড়ক যোজনার কাজ শাসক দলের তোলাবাজির ফলে বহু জায়গায় বন্ধ হওয়ার পথে।
৭)ভাতা প্রকল্পগুলি(বিধবা,বার্ধক্য)একেবারেই অনিয়মিত। প্রাপকদের সংখ্যা কমেছে।
৮)আদিবাসীদের বিশেষ করে বনাঞ্চলে, পাট্টা দেওয়া প্রায় বন্ধ, কারণ ভূমি সংস্কারের কাজ একেবারেই বন্ধ। বরং, পাট্টায় পাওয়া জমি শাসকদলের সদস্যরা কেড়ে নিচ্ছে।
৯)নতুন করে মাদ্রাসা হয়নি। মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন অনিয়মিত।
১০)গ্রামাঞ্চলে কাজের অভাবে যুবকেরা বাইরের রাজ্যে এমনকী, আরবের মতো দেশে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
১১)শাষকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রায় সমস্ত ব্লকেই।
১২)সিভিল পুলিস নিয়োগে দুর্নীতি।