বিজেপির বন্‌ধে মিশ্র সাড়া রাজ্যে

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এনডিএ-র ডাকা ভারত বন্‍‍ধে আংশিক প্রভাব পড়ল এ রাজ্যেও। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। বন্‍‍ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে নিত্যযাত্রীদের বচসা ও হাতাহাতিও হয়।

Updated By: May 31, 2012, 09:21 AM IST

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এনডিএ-র ডাকা ভারত বন্‍‍ধে আংশিক প্রভাব পড়ল এ রাজ্যেও। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। বন্‍‍ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে নিত্যযাত্রীদের বচসা ও হাতাহাতিও হয়।  বিভিন্ন জায়গায় বাসে ভাঙচুরও চালানো হয়।  তবে রাজ্যের সরকারি দফতরগুলিতে হাজিরা স্বাভাবিক ছিল বলেই দাবি করেছেন পরিবহণমন্ত্রী।
বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, বাস ভাঙচুর, সরকারি অফিসে ঢুকতে কর্মীদের বাধা। এই ছিল এনডিএ-র ডাকা ২৪ ঘণ্টা ভারত বন্‍‍ধ এবং বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‍‍ধে খণ্ড চিত্র।  
 
শিলিগুড়িতে বনধের ভালোই প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে মোর্চার বিরোধিতায় পাহাড়ের তিন মহকুমায় বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি।
 
কোচবিহারে চলন্ত বাসে ভাঙচুর চালান বনধ সমর্থনকারীরা। বন্‍‍ধের সমর্থনে মিছিল করায় কোচবিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে।
 
উত্তরদিনাজপুরে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বন্‍‍ধ সমর্থনকারীরা।
 
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানোয় ৭০ জন বন্‍‍ধ সমর্থনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস।
 
বন্‍‍ধের মিশ্র প্রভাব পড়ে মালদার জনজীবনে। সরকারি বাস চলাচল করলেও, বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস চলাচল।
 

বহরমপুরের পূর্ত দফতরের অফিসে কর্মচারীদের ঢুকতে বাধা দেয় বনধ সমর্থকরা।
অফিসে ঢুকে ভাঙচুরও চালায়। পরে স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যায় তারা।
 
বর্ধমানের সর্বত্র বনধের যথেষ্টই প্রভাব ছিল। বন্ধ ছিল শহরের সব দোকানপাট।
সরকারি বাস চললেও বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস চলাচল। দুপুরে ১১৭ জন বিজেপি
কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিস। বাঁকুড়ার রামসাগরে
আধঘণ্টা ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি সদস্য সমর্থকরা।

বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে পথ অবরোধের চেষ্টা করে বনধ সমর্থনকারীরা। বাস আটকায় তারা। লাঠি দিয়ে বাসের কাঁচ ভাঙা হয়।
 
বাস ভাঙচুরের জেরে বন্ধ হয়ে পড়ে বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবাও। যার ফলে
সমস্যায় পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি কলেজে স্নাতক
স্তরের পরীক্ষা থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা।

অবরোধের জেরে সকাল থেকে বন্ধ ছিল শিয়ালদহ- বনগাঁ ও বারাকপুর শাখার ট্রেন
চলাচল। আগরপাড়া ও শ্যামনগরে ট্রেন অবরোধ করতে গেলে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে
বচসা ও হাতাহাতি হয় বনধ সমর্থনকারীদের।

.