কাল থেকে টানা তিন দিন পাহাড় বন্‍ধ মোর্চার

পৃথক তেলেঙ্গানা মেনে নিলে মানতে হবে গোর্খাল্যান্ডের দাবিও। এই দাবিতেই সোমবার থেকে টানা তিন দিন পাহাড় বন্‍ধ-এর ডাক দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার পাহাড় বনধের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের ওপর তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে তাঁর প্রতিক্রিয়া, শান্তিপূর্ণ দার্জিলিঙে অশান্তি ছড়ানোতে ইন্ধন দেওয়া আগুন নিয়ে খেলা।

Updated By: Jul 28, 2013, 09:52 AM IST

পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে জেহাদের সুর আরও এক ধাপ চড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সোমবার থেকে পাহাড়ে শুরু হচ্ছে মোর্চার ডাকে বনধ। তার আগের দিন মোর্চা সভাপতি জানিয়ে দিলেন, তাঁরা জিটিএ ছাড়ছেন। মোর্চার হুঁশিয়ারি, প্রশাসন  তাদের ডাকা বনধ দমন করতে চাইলে তার ফল ভালো হবে না।
রাজ্য সরকার ও মোর্চার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগেই। নরমে গরমে তা সামাল দিচ্ছিল দু পক্ষই। তেলেঙ্গানা ইস্যুতে  কেন্দ্র সুর নরম করতেই পাহাড়ে ফের অশান্তির ইঙ্গিত। সোমবার থেকে  পাহাড়ে বাহাত্তর ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে মোর্চা । বনধের আগের দিন জেহাদের সুর আরও চড়িয়ে কালিম্পঙের গরুবাথানে বিমল গুরুং জানিয়ে দিলেন, মোর্চা জিটিএ ছাড়ছে  । রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন মোর্চা সভাপতি। মোর্চার আন্দোলনের সিদ্ধান্তকে পাহাড়ে অশান্তি তৈরির চক্রান্ত হিসেবেই দেখছেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
মোর্চার ডাকা বনধের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে প্রশাসনেও। মোর্চা সরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা  বললেও দার্জিলিঙের জেলাশাসক জানিয়েছেন, সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এমনকি একতিরিশ নম্বর জাতীয় সড়কে বনধের প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি প্রশাসনের। পাহাড়ে  অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বারো কোম্পানি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে এসএসএফ, আইআরবি। মোর্চা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এবার শুরু হচ্ছে চরম সংগ্রাম। প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও অশান্তির কালো মেঘ এখন পাহাড়ে। 

.