বাঁকুড়ায় আক্রান্ত শিক্ষিকা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই একাধিকবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের চক্রান্ত বলে বারবার অভিযোগ নস্যাত্ও করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার সেই একই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকায়। অভিযোগ, বাবার মৃত্যুতে গ্রামে ফিরে তৃণমূলের তাণ্ডবের শিকার হলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়া জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব।
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই একাধিকবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের চক্রান্ত বলে বারবার অভিযোগ নস্যাত্ও করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার সেই একই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকায়। অভিযোগ, বাবার মৃত্যুতে গ্রামে ফিরে তৃণমূলের তাণ্ডবের শিকার হলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়া জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব।
বাবার মৃত্যুতে বাড়ি ফিরে তৃণমূলের তাণ্ডবের শিকার হলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা কবিতা পাত্র। বৃহস্পতিবার এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বাঁকুড়া জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। অভিযোগ, বুধবার রাতে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তালডাংরা থানার মাণ্ডি গ্রামে পৌঁছোলে রাজনৈতিক হিংসার শিকার হন কবিতাদেবী। প্রথমে গালিগালাজ, পরে বাড়িতে চড়াও হয়ে ইঁট পাটকেল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিসের উপস্থিতিতেই বাড়ি ঘেরাও করে দিনভর গৃহবন্দী করে রাখা হয় সিপিআইএম সমর্থক কবিতাদেবীকে। সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিস।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, কবিতাদেবীর উপস্থিতিতে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াতে পারে। তাই অবিলম্বে মাণ্ডি গ্রাম ছাড়তে হবে কবিতাদেবীকে।
নির্বাচনের ফলঘোষণার পর থেকেই এলাকাছাড়া স্থানীয় আমডাংরা গ্রামের বাসিন্দা কবিতাদেবী। এলাকায় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন পাত্র দম্পতি। সিপিআইএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন কবিতাদেবীর স্বামী জিতেন পাত্র। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরেই স্থানীয় একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিতেনবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর একাধিকবার বাড়িতে হামলার ঘটনায় আতঙ্কে আমডাংরা গ্রাম ছাড়েন কবিতাদেবী।