বিষমদ কাণ্ডেও ছেদ পড়েনি চোলাই কারবারে
গোপনে চোলাই মদের কারবার চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আজ অভিযান চালাল সংগ্রামপুরের একদল যুবক। খবর ছিল, বিষমদ কাণ্ডের পরও, সংগ্রামপুরের পদ্মপুকুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে চলছে বেআইনি মদের কারবার।
গোপনে চোলাই মদের কারবার চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আজ অভিযান চালাল সংগ্রামপুরের একদল যুবক। খবর ছিল, বিষমদ কাণ্ডের পরও, সংগ্রামপুরের পদ্মপুকুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে চলছে বেআইনি মদের কারবার। আজ সেখানে হানা দেয় স্থানীয় যুবকরা। একটি বাগানে চোলাইয়ের প্যাকেট পাওয়া যায়। এরপরই বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায় ওই যুবকরা। সংলগ্ন একটা বাড়ির সামনে গর্তে মেলে চোলাইয়ের জার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এভাবে লুকিয়ে রেখে রাতে বিক্রি করা হচ্ছে চোলাই মদ। পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিস।
অন্য দিকে সংগ্রামপুরে বিষমদে মৃত্যু মিছিলের জেরে বেআইনি মদের কারবার রুখতে জেলায় জেলায় পুলিসি অভিযান শুরু হলেও এখনও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পুলিসের নাকের ডগায় অবাধে চলছে বেআইনি মদের ব্যবসা। হাটখোলা থানা থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে বারাসতেই রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের কারবার। সকালে খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে স্থানীয় চোলাইয়ের ঠেকের মালিক চড়াও হন সাংবাদিকদের ওপরেই। বচসা থেকে সূত্রপাত হাতাহাতির। এরপরেই বারাসত থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। পুলিস পৌঁছোলে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন অভিযুক্তরা। এরপরেই ছোটখাট অভিযান চালিয়ে ঠেক ভেঙে দেওয়া হলেও, উদ্ধার করা যায়নি চোলাই মদ তৈরির সরঞ্জাম। অন্যদিকে এলাকায় অবাধে চলা এই চোলাইয়ের কারবার রুখতে নিষ্ক্রিয় পুলিস, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।