ভোটের পাঁচ মাস পর তিনি নাকি যাচ্ছেন নিজের কেন্দ্রে!

ভোটের পাঁচ মাস পর অক্টোবরে নারায়ণগড় যাচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। কেন এত দেরি? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। অন্য রাজ্যে দলের নেতাকর্মীদের কাছে এরাজ্যে শাসকদলের আক্রমণের কথা তুলে ধরতে বেরিয়ে পড়েছেন বঙ্গ সিপিএমের নেতারা। টিমের ক্যাপ্টেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এ রাজ্যে মাঠে-ঘাটে লড়াই করা দলীয় কর্মীদের পাশে না দাঁড়িয়ে ভারত যাত্রায় কী লাভ? প্রশ্নটা ঘুরছে আলিমুদ্দিনের অন্দরেই।   

Updated By: Aug 18, 2016, 05:45 PM IST
ভোটের পাঁচ মাস পর তিনি নাকি যাচ্ছেন নিজের কেন্দ্রে!

ওয়েব ডেস্ক : ভোটের পাঁচ মাস পর অক্টোবরে নারায়ণগড় যাচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। কেন এত দেরি? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। অন্য রাজ্যে দলের নেতাকর্মীদের কাছে এরাজ্যে শাসকদলের আক্রমণের কথা তুলে ধরতে বেরিয়ে পড়েছেন বঙ্গ সিপিএমের নেতারা। টিমের ক্যাপ্টেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এ রাজ্যে মাঠে-ঘাটে লড়াই করা দলীয় কর্মীদের পাশে না দাঁড়িয়ে ভারত যাত্রায় কী লাভ? প্রশ্নটা ঘুরছে আলিমুদ্দিনের অন্দরেই।   

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও ভরাডুবি। পরাজিত দলের রাজ্য সম্পাদক। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে নারায়ণগড়। হেরে গিয়েছিলেন সাড়ে ১৩ হাজার ভোটে।

ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা খোঁচা দিতেন। প্রাক্তন মন্ত্রী এবার প্রাক্তন বিধায়ক হবেন। ভোটের ফলে সেটাই হয়েছে। যাদবপুরে দাঁড়ানোর প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নিজের পুরনো কেন্দ্র নারায়ণগড়ে গিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্রর হার বঙ্গ সিপিএমের মর্যাদায় আঘাত করেছে। কিন্তু, যে সিপিএম কর্মীরা রাজ্য সম্পাদককে জেতাতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেন, তাঁদের পাশে কি অসময়ে দাঁড়াতে পারল দল?    

ভোটের পর নারায়ণগড়ে যাননি সূর্যকান্ত মিশ্র। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যাবেন, এমন খবরও নেই। ভোটের পাঁচ মাস পর অক্টোবরে নারায়ণগড় যাচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। অক্টোবরে নারায়ণগড়ে একটি জনসভা ও একটি পার্টিসভা করবেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।  

আরও পড়ুন- দলকে 'স্লিম অ্যান্ড ট্রিম' করতে চেয়ে প্রস্তাব সিপিএমে

রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে কেন এত দেরি? মাঝে একবার মেদিনীপুর শহরে দলের বৈঠকে অংশ নিলেও কেন নিজের পুরনো কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হচ্ছে না সূর্যকান্ত মিশ্রর? কেন ভোটের পরে এখনও পর্যন্ত নারায়ণগড়ে একটিও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে পারল না সিপিএম?

অন্যান্য রাজ্যে দলের নেতাকর্মীদের কাছে পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের আক্রমণের কথা তুলে ধরার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। এ জন্য সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ি ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে টিম তৈরি করেছে আলিমুদ্দিন। নেতৃত্বে সূর্যকান্ত মিশ্র। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ঘুরে এসেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। অসম-ওড়িশাতেও এ রাজ্যের কথা তুলে ধরার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।  সিপিএম নেতারা ভারত সফরে বেড়িয়েছেন। রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে বলে বেড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের কমরেডদের ওপর তৃণমূলের অত্যাচারের কথা। কিন্তু, এই অরণ্যে রোদনে কী লাভ? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। আলিমুদ্দিনের নেতাদের একাংশই বলছেন,ঘরে যখন ঘূণপোকা লেগেছে তখন ঘর না সারিয়ে প্রতিবেশীর কাছে কাঁদুনি গেয়ে লাভ কী?

অন্য রাজ্যের কমরেডরা যতই আলিমুদ্দিনের পাশে দাঁড়ান না কেন তাতে মহারাষ্ট্র-তামিলনাড়ুতেও সিপিএমের আসন বাড়বে না। আসন বাড়বে না পশ্চিমবঙ্গেও। আর এই সূত্রেই প্রশ্ন উঠছে, অন্য রাজ্যে যাওয়ার সময় পেলেও কেন নিচুতলার কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে নারায়ণগড় যাওয়ার সময় হচ্ছে না সূর্যকান্ত মিশ্রর? সিপিএমের স্থানীয় নেতাদের একাংশ যুক্তি দিচ্ছেন, ভোটের পর যা পরিস্থিতি হয়েছিল তাতে নারায়ণগড়ে কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করা দলের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

নারায়ণগড়ের সিপিএম নেতা-কর্মীদের অন্য অংশ আবার বলছেন, খোদ সূর্যকান্ত মিশ্র হেরে যাওয়ার পর সেখানে এখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করার মতো মুখ নেই। মুখ হয়তো সত্যিই নেই। কিন্তু, তাই বলে ঘর ভুলে ভারতদর্শনে বেরিয়ে পড়লে কী লাভ হবে? প্রশ্নটা ঘুরছে আলিমুদ্দিনের অন্দরেই।

 

.