কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীর মাথায় অ্যাসিড ছুড়ে মারল যুবক
সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম খাতায় কলমেই রয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নিয়ম সত্ত্বেও রাজ্যে অ্যাসিড আক্রমণের ঘটনা ঘটল।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম খাতায় কলমেই রয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নিয়ম সত্ত্বেও রাজ্যে অ্যাসিড আক্রমণের ঘটনা ঘটল।
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বরুপনগরের তেতুলিয়া এক তরুণীর মাথায় অ্যাসিড ছুড়ে মারল এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণীকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। অভিযোগ তেতুলিয়ার ওই তরুণী কে এর আগেও বহুবার উত্যক্ত করত ওই যুবক। এই নিয়ে পঞ্চায়েতে সলিসি সভাও হয়। অভিযুক্ত অতুল মণ্ডল ঘটনার পরই পলাতক।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও ধরনের অ্যাসিড কিনতে গেলে সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। দোকানদারকেও খাতায় লিখে রাখতে হয় ক্রেতার নাম, ঠিকানা। অ্যাসিড আক্রমণ রুখতেই এ বার থেকে এমনই নিয়ম চালু হয়।
এই বিধিনিষেধ ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য কলকাতা পুলিস ও জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তা কলকাতা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শুধু দোকান নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারে অ্যাসিড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেখানেও দোকানের মতোই একটি খাতা রাখতে হবে। কে কে অ্যাসিড ব্যবহার করছেন তার বিস্তারিত হিসাব ওই খাতায় লিখে রাখতে হবে। বিষয়টি দেখভালের জন্য এক জন `অ্যাসিড কিপার` রাখতে হবে।
বিভিন্ন জায়গায় অ্যাসিড দিয়ে আক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি রাজ্যকে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বলে। এর পরেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।