পাহাড়ের মন জিততে গুরুং-ভূজেন সহ দশটি সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ রাজ্যের
লোকসভা নির্বাচনের আগে গুরুং-ভূজেন সহ ১০টি সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করল রাজ্য সরকার। কালচারাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরামর্শে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাহাড়ের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সুবিধা পাবে। মোর্চা নেতা রোশন গিরি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভোটের আগে পাহাড়ের মানুষের মন জয় করার লক্ষ্যেই মমতা ব্যানার্জির এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে গুরুং-ভূজেন সহ ১০টি সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করল রাজ্য সরকার। কালচারাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরামর্শে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাহাড়ের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সুবিধা পাবে। মোর্চা নেতা রোশন গিরি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভোটের আগে পাহাড়ের মানুষের মন জয় করার লক্ষ্যেই মমতা ব্যানার্জির এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দীর্ঘদিন ধরেই জনমুক্তি মোর্চার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, সমস্ত পাহাড়ের বাসিন্দাদের আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। রাজ্য সরকার কালচারাল এবং রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে বিষয়টি সমীক্ষা করে একটি রিপোর্ট দিতে বলে। রিপোর্টে পাহাড়বাসীর আর্থিক, সামাজিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বলা হয়। ইনস্টিটিউটের তরফে সম্প্রতি যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সমগ্র পাহাড়বাসী নয়, তবে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া দশটি সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে।
যে দশটি সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি হল, ভূজেন, গুরুং, মঙ্গর, মেওয়া, যোগী, খাস, রায়, সোনিয়া, কামী, এবং দেওয়ান। এর মধ্যে চারটি সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত। ইনস্টিটিউটের সুপারিশ মেনে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রের কাছে এই দশটি সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হবে।
রাজ্যের অনগ্রসর উন্নয়ন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারই আদিবাসী হিসেবে কোনও সম্প্রদায়কে ঘোষণা করতে পারে। রাজ্যের এই এক্তিয়ার নেই। দশটি সম্প্রদায়কে আদিবাসী ঘোষণা করলে পাহাড়ের জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ উপকৃত হবেন বলে দফতর সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আদিবাসী উন্নয়ন প্রকল্পে যে অনুদান দিয়ে থাকে, তাতে পাহাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে দাবি।