Rosie Moore: গ্ল্যামারাস বিজ্ঞানী? নিজেকে 'ওয়ার্ল্ডস হটেস্ট সায়েন্টিস্ট' বলেন! তাঁর সম্পর্কে সবটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে...
World’s Hottest Scientist: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। কেউ বিজ্ঞানী হলে যে তাঁকে সুন্দর/সুন্দরী হতে হবে না, এমনও নয়। নয় যে, সেটা জোরের সঙ্গে প্রমাণ করেছেন রোজি মুর। ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের ডেলরে শহরে বাসিন্দা রোজিকে নিয়ে হইচই নেটপাড়ায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আর বিজ্ঞানী হলে যে তাঁকে সুন্দর বা সুন্দরী হতে হবে না, এমনও তো নয়। নয় যে, সেটা জোরের সঙ্গে প্রমাণ করেছেন রোজি মুর। ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের ডেলরে শহরে বাসিন্দা রোজি মুর পেশায় একজন প্রাণী-বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানীও। অবসরমতো মডেলিংও করেন। বিভিন্নরকম বিষাক্ত প্রাণী-পতঙ্গ পোষেন। গুণের আকর বলতে গেলে। পাশাপাশি রূপেরও ডালি তিনি। নিজেই নিজেকে বলেন, 'আই অ্যাম দ্য ওয়ার্ল্ডস হটেস্ট সায়েন্টিস্ট'। না, সেটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়। তাঁর ছবি-টবি দেখে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন, তিনিই এ গ্রহের সব চেয়ে গ্ল্যামারাস বিজ্ঞানী।
কিন্তু সমস্যা হল, তিনি বিজ্ঞানী হলেও গোটা বিশ্ব তাঁকে বেশি চেনে তাঁর সৌন্দর্যের জন্যই। এ তাঁর পক্ষে সম্মানের না অসম্মানের সেটা অবশ্য অন্য প্রশ্ন। তবে, এবার তিনি খবরের শিরোনামে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। তিনি এবার ট্রোলড হলেন তাঁর অন্য এক শখের কারণে।
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: রাশিয়া কি ফেব্রুয়ারির শেষেই নতুন কোনও আক্রমণ হানবে ইউক্রেনে?
সম্প্রতি তিনি একটি ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা পুষেছেন। ভয়ংকর বিষধর সাপ হিসেবে পরিচিত র্যাটলস্নেকের থেকেও ১৫ গুণ বেশি মারাত্মক এই তাঁর এই নতুন পোষ্যটি। যদিও রোজির দাবি, মাকড়সাটি সম্পর্কে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। ব্ল্যাক উইডো স্ত্রী মাকড়সারা সঙ্গমের পর তাদের পুরুষসঙ্গীদের খেয়ে ফেলে। স্ত্রী মাকড়সাদের একটি বিশালাকার বিষগ্রন্থি থাকে। কিন্তু তা নিয়ে আদৌ বিচলিত নন রোজি। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি একটি ব্ল্যাক উইডো মাকড়সার খোঁজ করছিলেন। অবশেষে এই মাকড়সাটিকে তিনি পেয়েছেন। মাকড়সাটির একটি নামও তিনি দিয়েছেন-- ওফেলিয়া। রোজি বলেছেন-- একটিমাত্র কামড় প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা সত্যিই খুব কম। তাঁর দাবি, একমাত্র ঝুঁকি রয়েছে বয়স্ক বা শিশুদের ক্ষেত্রে। তাছাড়া মাকড়সাগুলি আকারে এতই ছোট হয় যে তারা খুব কম পরিমাণ বিষই ঢালতেপারে। তাই তারা র্যাটলস্নেকের মতো অতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে না।
সে যাই হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজের কোনও ছবি বা ভিডিয়ো পোস্ট করলেই তা নিমেষে ভাইরাল হয়। নেট-পাড়ার বিচারে, রোজিই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী, সাহসী এবং সেক্সি বিজ্ঞানী। কিন্তু তাঁকে ঘিরে এত মুগ্ধতা ও প্রশংসা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি নিজের কিম্ভূত শখের কারণে অনলাইনে ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন তিনি। মানুষ তাঁর এই আশ্চর্য বিপজ্জনক শখ নিয়ে এতটাই বিরক্ত যে, তাঁদের অনেকেই তাঁকে 'পাগল' পর্যন্ত বলে দিচ্ছেন।