World Bamboo Day: বিশ্ব বাঁশ দিবসে জেনে নিন বাঁশ সম্বন্ধে কয়েকটি অজানা কথা...
বাঁশের জন্য যে একটি দিন থাকতে পারে, এ হয়তো অনেকেরই আশ্চর্য লাগে। তবে, প্রকৃতিতে বাঁশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাঁশশিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য এরকম একটি দিন থাকা আশ্চর্য নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব বংশ দিবস। প্রতি বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু ডে পালিত হয়ে থাকে। বাঁশের জন্য যে একটি নির্দিষ্ট দিন থাকতে পারে, এটা হয়তো আমাদের অনেকেরই আশ্চর্য লাগে। তবে, প্রকৃতিতে বাঁশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং বাঁশ শিল্পকেও উৎসাহিত করার জন্য এরকম একটি দিন ভাবা হয়েছে। বাঁশের অর্থনৈতিক গুরুত্বও অসীম। ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু অর্গানাইজেশন আয়োজিত অষ্টম ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু কংগ্রেসে এই আন্তর্জাতিক বংশ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ব্যাংককে। প্রকৃতির দিক থেকে বাঁশের উপযোগিতা বিপুল। আদিবাসী কৌম জনজীবন নানা উদ্ভিদের মতো বাঁশের উপরও নিবিড় ভাবে নির্ভরশীল। তাদের নিত্যদিনের জীবনের সঙ্গে বাঁশ ও বাঁশ শিল্প নানা ভাবে বিজড়িত।
বাঁশ সম্বন্ধে কতগুলি মজার তথ্য জেনে রাখুন:
১) পৃথিবীতে যে সব উদ্ভিদ দ্রুত বাড়ে বাঁশ তাদের অন্যতম
২) বাঁশ খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশের বিপুল ব্যবহার আছে। বাড়িঘরদোর তৈরির ক্ষেত্রে বাঁশের ব্যবহার রয়েছে। হস্তশিল্পের ক্ষেত্রেও বাঁশের বিচিত্র ব্যবহার ও উপযোগিতা রয়েছে।
৩) সব চেয়ে বড় কথা, যত্ন করে রোপণ করে, কীটনাশক বা রাসায়নিক সার দিয়ে, জল দিয়ে যত্ন করে বড় করে তুলতে হয় না বাঁশকে।
৪) বাঁশের অসংখ্য পাতা ঝরে পড়ে, আর এই শুকনো পাতা মাটির পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। মাটিকে উর্বর করার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা রয়েছে।
৫) মাটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বাঁশের বিপুল উপযোগিতা।
৬) জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যও বাঁশের উপযোগিতা বিপুল
বাঁশ শব্দটিকে নিয়ে বাঙালির হাসিমশকরার শেষ নেই। 'বাঁশ দেওয়া' কয়েনেজ নিয়ে বাঙালি তার চায়ের আড্ডায় হাসির হররা তোলে। 'বাঁশ' শব্দটিকে অবশ্য আরও নানা আঙ্গিকে ব্যবহার করা হয়। তবে, এই আশ্বিনে বাঁশ বাঙালির কাছে সম্পূর্ণ অন্য অনুষঙ্গ বয়ে আনে। বাড়ির বাইরে ক্লাবের সামনে মাঠে বা ক্লাবে রাস্তার ধারে বাঁশের স্তূপ দেখে এখন বাঙালির মন আনন্দে নেচে ওঠে। কেননা এ সব বাঁশ প্যান্ডেল তৈরির বাঁশ। আর কদিন পরেই পুজো। বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব।