হোয়াইট উইডো ব্যাক ইন অ্যাকশন
আটবছরের বিরতি শেষ। ফের ব্যাক ইন অ্যাকশন হোয়াইট উইডো। কেনিয়ার শপিং মলে হামলার পিছনে উঠে আসছে হোয়াইট উইডো বলে পরিচিত সামান্থা লেউথওয়েটের নাম। সন্দেহ, সামান্থা-সহ জঙ্গিদের মধ্যে ছিল জনা তিনেক মার্কিন ও ব্রিটিশ মহিলা।
আটবছরের বিরতি শেষ। ফের ব্যাক ইন অ্যাকশন হোয়াইট উইডো। কেনিয়ার শপিং মলে হামলার পিছনে উঠে আসছে হোয়াইট উইডো বলে পরিচিত সামান্থা লেউথওয়েটের নাম। সন্দেহ, সামান্থা-সহ জঙ্গিদের মধ্যে ছিল জনা তিনেক মার্কিন ও ব্রিটিশ মহিলা।
কেনিয়া সরকারের তরফে এখনও নিশ্চিত করা না হলেও, সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
ফের শিরোনামে হোয়াইট উইডো। কেনিয়ার শপিং মলে হামলার পিছনের মস্তিষ্ক কী সামান্থা লেউথয়েট? শপিং মল থেকে মেলা ভিডিও ফুটেজে কিন্তু, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বছর তিরিশের এক মহিলা সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের একের পর নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন। কেনিয়া সেনার দাবি, সন্দেহভাজন ওই মহিলা আদতে হোয়াইট উইডো সামান্থা লেউথয়েট। সম্ভাবনা আরও জোরালো করেছে কেনিয়ার বিদেশমন্ত্রী আমিনা মহম্মদের মন্তব্য। তাঁর দাবি, শপিং মলে হামলা চালানো আল শাহবাব জঙ্গিদের মধ্যে দু থেকে তিনজন মার্কিন ও বিট্রিশ মহিলা ছিলেন।
কিন্তু কে এই সামান্থা? ২০০৫-এর ৭ জুলাই লন্ডনের টিউব রেলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ৭০০জন প্রাণ হারান। আত্মঘাতী জঙ্গি হিসাবে নাম উঠে আসে লিন্ডসে লেউথওয়েটের। সামান্থা, লিন্ডসের স্ত্রী। অভিযোগ ছিল, টিউবরেলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল সামান্থাই। যদিও, তিনি তা অস্বীকার করেন। তারপর থেকে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার ঘটনায় বার বার উঠে আসে সামান্থার নাম। ইউরোকাপ দু হাজার বারো চলাকালীন বিভিন্ন ধর্মস্থানে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় সামান্থার হাত ছিল বলে গোয়েন্দাদের অনুমান।
এখানেই শেষ নয় গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সামান্থা। এছাড়াও, আফ্রিকায় একটি মহিলা জঙ্গিগোষ্ঠীকেও নিয়মিত অর্থ সাহায্য করেন তিনি।
ওয়েস্ট গেট শপিং মলে হামলার দায় স্বীকার করা আল শাহবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেও সামান্থার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়েস্টগেট শপিং মলে হামলা চালানো আল শাহবাব জঙ্গিদের মধ্যে বেশকয়েকজন বিদেশি ছিলেন বলে মন্তব্য করছেন ব্রিটেনে নিযুক্ত সোমালিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদিল্লাহি মহম্মদ আলি।
নাইরোবির মলে হামলার পিছনে সামান্থার কতটা সক্রিয় ভূমিকা ছিল তানিয়ে অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয় কেনিয়া পুলিস। হামলাকারীদের সকলকেই মেরে ফেলা সম্ভব হয়েছে বলে সেনার তরফে জানানো হলেও, সামান্থা কোথায় রয়েছেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে, এখনও রহস্যের আড়ালেই হোয়াইট উইডো।