সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চই হয়ে উঠল অসুন্দর, বিজয়িনীর মাথা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল Crown

পরে অবশ্য বিজয়িনীকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেরার শিরোপা। ক্ষমাও চাওয়া হয় তাঁর কাছে।

Updated By: Apr 7, 2021, 06:36 PM IST
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চই হয়ে উঠল অসুন্দর, বিজয়িনীর মাথা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল Crown

নিজস্ব প্রতিবেদন:  'বিজয়িনী' কবিতায় নজরুল লিখেছিলেন-- 'হে মোর রানি! তোমার কাছে হার মানি আজ শেষে/....এই হার-মান-হার পরাই তোমার কেশে'! কিন্তু মাথায় পরিয়ে দেওয়া মুকুট খুলে নিতে গিয়ে তা 'কেশে' আটকে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই যে একটা 'চুলোচুলি' ব্যাপার ঘটতে পারে নজরুলের কবিতায় তার ইঙ্গিতমাত্র নেই!

থাকবেই-বা কী করে! এমন ঘটনা তো কখনও ঘটেছে বলেও কেউ মনেও করতে পারছে না! স্বয়ং বিজয়িনীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নেওয়ার মতো অসুন্দর ঘটনা কোনও সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় যে ঘটতে পারে, তাই-বা কে ভেবেছে। অথচ তেমন ঘটনাই ঘটল শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)! শ্রীলঙ্কার এক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়িনীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নেওয়া হল। এবং খুলে নেওয়ার সময়ে টানা-হেঁচড়ায় মাথায় আঘাত পেলেন বিউটি কুইন। তাঁকে ভর্তিও হতে হল হাসপাতালে।

আরও পড়ুন:  ভূতুড়ে: বুক, থুড়ি শিকড় ভরে শ্বাস নিচ্ছে গাছ; ফুলে উঠছে গাছের তলার মাটি!

'মিসেস শ্রীলঙ্কা' (Mrs Sri Lanka) প্রতিযোগিতায় এই বিতর্কের সূত্রপাত। ২০২০-'২১ বর্ষের বিজয়িনী ঘোষিত হন ৩১ বছরের পুষ্পিকা ডি সিলভা (Pushpika De Silva)। নাম ঘোষণা হওয়ার পর পুষ্পিকার মাথায় মুকুট ওঠে। নিজে হাতে তা পুষ্পিকার মাথায় তুলে দেন ২০১৯-'২০ বর্ষের বিজয়িনী ক্যারোলিন জুরি (Caroline Jurie)। পরে হাতে মাইক নিয়ে পুষ্পিকাকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি ঘোষণা করেন, পুষ্পিকা মুকুটের যোগ্য নন। কারণ প্রতিযোগিতাটি বিবাহিত মহিলাদের জন্য। পুষ্পিকার বিয়ে হলেও বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাই সেরার শিরোপা পাওয়ার যোগ্য নন পুষ্পিকা। এর পরে পুষ্পিকার মাথার মুকুট ধরে টানাটানি শুরু করেন ক্যারোলিন। চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে শেষমেশ মুকুটটি পুষ্পিকার মাথা থেকে খুলে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর মাথায় পরিয়ে দেন। গোটা ঘটনায় অপমানিত হয়ে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান পুষ্পিকা। তবে পরে নেটমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। Facebook post-য়ে জানান, আইনত বিচ্ছেদ না হলেও স্বামীর থেকে আলাদাই থাকেন তিনি। 

এর পরই বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। প্রতিযোগিতার আয়োজকদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন নেট-নাগরিকরা। অন্যান্য দেশেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। নড়েচড়ে বসেন উদ্যোক্তারা। সেরার মুকুট তাঁরা ফেরত দেন পুষ্পিকাকে। বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, পুষ্পিকার কাছে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে।

দেখতে গেলে অবশ্য শেষে সেই নজরুলকবিতাই (Nazrul Islam) আওড়ে বলতে হয়-- 'হে মোর রানি! তোমার কাছে হার মানি আজ শেষে'! 

আরও পড়ুন: ছেলের সঙ্গে বিয়ে নিজেরই মেয়ের! জেনে কী করলেন মা?

.