বন্যেরা বনে সুন্দর, আর মানুষ খাঁচায়

এটা এক আজব চিড়িয়াখানা। এখানে বন্যরা খাঁচার বাইরে, আর মানুষ খাঁচা বন্দি। মানুষের গায়ের গন্ধ শুঁকে যাচ্ছে বাঘ, সিংহের মতো হিংস্র পশুরা। সে এক ভারী আজব দেশ। রাজা, মন্ত্রী আছেন বেশ। তবে এখানে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। যেখানে মানুষ রাজা নয়, বনের রাজারাই আপনাকে দেখতে আসবে। মানুষই এখানে চুনোপুঁটি।

Updated By: Oct 19, 2016, 03:53 PM IST
বন্যেরা বনে সুন্দর, আর মানুষ খাঁচায়

ওয়েব ডেস্ক: এটা এক আজব চিড়িয়াখানা। এখানে বন্যরা খাঁচার বাইরে, আর মানুষ খাঁচা বন্দি। মানুষের গায়ের গন্ধ শুঁকে যাচ্ছে বাঘ, সিংহের মতো হিংস্র পশুরা। সে এক ভারী আজব দেশ। রাজা, মন্ত্রী আছেন বেশ। তবে এখানে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। যেখানে মানুষ রাজা নয়, বনের রাজারাই আপনাকে দেখতে আসবে। মানুষই এখানে চুনোপুঁটি।

এ চিড়িয়াখানার নিয়ম আলাদা। এখানের রোমাঞ্চ একটু অন্যরকম। সাধারণ চিড়িয়াখানায়, বাঘ, সিংহরা খাঁচা বন্দি থাকে। আমরাই তাদের কায়দা কসরত তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি। চিনের এই চিড়িয়াখানার খবর অনেকেরই অজানা। অদ্ভুতুড়ে এই চিড়িয়াখানার নাম লেদু ওয়াই ল্ড লাইফ জু

আরও পড়ুন- অনার কিলিং প্রমাণিত হলে চরম সাজা মৃত্যুদণ্ড জানিয়ে দিল পাক সংসদ

এখানে দর্শকদেরই জাল দিয়ে ঘেরা গাড়িতে তুলে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর ছেড়ে দেওয়া হয় বিশাল এক বাগানের মধ্যে। পৃথিবীর অধিকাংশ হিংস্র পশুর সঙ্গে। দেখুন একেবারে খাঁচায় মোড়া  চিড়িয়াখানার দর্শকদের  গায়ের কাছে কীভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিংহ মামারা।

এরপর এল বাঘের দল। দেখুন তাদেরও কী মেজাজ। ভয় নেই। আপনি যে ভাবে খাঁচা বন্দি জন্তুদের দেখেন, ওরাও সেভাবে আপনাকে দেখে মজা নিচ্ছে। মজার তথ্য হল, ২০১৫ সালে উদ্বোধন হয় এ চিড়িয়াখানার। পশুদের দর্শকদের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য গাড়ির গায়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কাঁচা মাংস। হাড় হিম করা এই অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী হতে মারমার কাট কাট বিক্রি। প্রথম দিনেই তিন মাসের অ্যাডভান্স বুকিং।

আরও পড়ুন- 'একবার ভারতকে হারিয়ে দেখাও আফ্রিদি, পাকিস্তানের জন্য নগ্ন হব আমি': কান্দিল বালোচ

অন্য চিড়িয়াখানার স্বাদ নিতে তাই চিনের এই চিড়িয়াখানার জুড়ি মেলা ভার। যেখানে বন্যনা বাইরে সুন্দর। আর মানুষ খাঁচায়।

.