সাড়া মিলছে রেমডেসেভির প্রতিষেধকে, ৩০ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনা রোগীরা
এই ড্রাগ মূলত মানব শরীরে প্রবেশ করে ভাইরাসকে প্রতিলিপি গঠনে বাধা দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণে সাধারণ চিকিৎসা থেকে রেমডেসেভির প্রয়োগে প্রায় ৩০ শতাংশ দ্রুত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। রেমডেসেভির নিয়ে এমনই সোজা-সাপটা গুনগান শোনা গেল মার্কিন চিকিৎসকদের মুখে। করোনা সংক্রমণের আপাতত কোনও প্রতিষেধক নেই। প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে আশার আলো হয়ে উঠছে রেমডেসেভির।
ইউএস ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজ (NIAID) একটি বিবৃতিতে বলেছে গিলিড সায়েন্সের এই রেমডেসেভির ড্রাগের প্রয়োগে রোগীরা প্রায় ৩১ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইউএস ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজের প্রধান অ্যান্টনি ফৌসি হোয়াইট হাউসে জানিয়েছেন, রেমডেসেভির প্রয়োগে দারুন ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর আগে রেমডেসেভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সেরকম প্রভাবশালী ফল মেলেনি। এমনই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে পরক্ষনেই মুছে ফেলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তবে গিলিড অবশ্য তাঁদের ড্রাগ নিয়ে সম্ভাব্য সুফলের কথা বলেছিল। মার্কিন চিকিৎসকদের মুখেও এবার সেই সুফলেরই কথা।
আরও পড়ুন: মানুষের হাতে এবার সত্যিই উঠবে 'চাঁদের কণা', খরচ করতে হবে সামান্য টাকা
এর আগে অবশ্য এবোলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল রেমডেসেভির। এই ড্রাগ মূলত মানব শরীরে প্রবেশ করে ভাইরাসকে প্রতিলিপি গঠনে বাধা দেয়। তবে মার্কিন চিকিৎসকদের এই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেমডেসেভিরের মিশ্র প্রতিক্রিয়াও মিলেছে অনেক ক্ষেত্রে। এখন করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকরা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডেসেভিরের ওপরই ভরসা রাখছেন। তবে বহু ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপিতেও সুফল মিলছে।