বাগদাদির চুরি যাওয়া অন্তর্বাসে মেলা ডিএনএ থেকেই আইএস প্রধানের নাগাল পেল মার্কিন সেনা
কুর্দ নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রাটিক ফ্রন্টের পরামর্শদাতা পোলাট ক্যান এনিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিরিয়ার ইদলিবে জ্যাকেট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয় আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। মার্কিন ডেল্টা ফোর্সের হাতে ধরাপড়ার হাত থেকে বাঁচতেই তিন সন্তান-সহ নিজেকে উড়িয়ে দেয় আইএস প্রধান। কিন্তু টানা পাঁচ বছর হন্যে হয়ে খোঁজার পর কীভাবে বাগদাদির ডেরার সন্ধান পেল মার্কিন সেনা?
আরও পড়ুন-শুক্রবার থেকে ধর্মঘটে তামিলনাড়ুর সরকারি হাসপাতালের ১৬,০০০ চিকিত্সক!
সোমবার এক কুর্দি পুলিস অফিসার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাগদাদির ডেরা থেকে তার একজোড়া অন্তর্বাস চুরি করে এনেছিলেন এক কুর্দ গুপ্তচর। সেই অন্তর্বাসের ডিএনএ টেস্ট করেই বাগদাদির ব্যাপারে নিশ্চিত মার্কিন সেনা।
কুর্দ নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রাটিক ফ্রন্টের পরামর্শদাতা পোলাট ক্যান এনিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তিনিই জানিয়েছেন কীভাবে নাগাল পাওয়া গেল বাদগাদির।
সংবাদমাধ্যমে ক্যান বলেন, গত ১৫ মে থেকে সিআইএ-র সঙ্গে আমরা কাজ করছিলাম। বাগদাদির গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হচ্ছিল। ঘনঘন ডেরা বদল করছিল আইএস নেতা। শেষপর্যন্ত আমাদের গুপ্তচর তার নাগাল পেয়ে যায়। সেই চর বাগদাদির ২টি অন্তর্বাস চুরি করে আনে। সেই অন্তর্বাসের ডিএনএ টেস্ট করেই বাগদাদি সম্পর্কে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হই। ইদলিবে বাগদাদির ডেরায় অভিযান চালানো ওই তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই।
আরও পড়ুন-শিবসেনার হাতে অন্য বিকল্পও রয়েছে, সরকার গঠন নিয়ে বিজেপিকে সরাসরি হুমকি সঞ্জয় রাউতের
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সিরিয়ায় ইদলিবে আইএস ডেরায় অভিযান চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশন ট্রুপ। রাতের সেই অভিযানে মার্কিন সেনা হামলা চালায় আইএস প্রধানের ডেরায়। ইদলিবের একটি জায়াগায় সুড়ঙ্গের মধ্যে লুকিয়ে ছিল বাগদাদি ও তার সঙ্গীরা। ট্রাম্প জানান, পালাবার উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত বিস্ফোরক জ্যাকেট পরে নিজেকে উড়িয়ে দেয় আইএস প্রধান। তার সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে তার নিজের ৩ সন্তানের। গুলিতে নিহত হয় বাগদাদির ২ স্ত্রীর।
ট্রাম্প এদিন সাংবাদিকদের বলেন, গত রাতে দুনিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক জঙ্গিকে খতম করেছে মার্কিন সেনা। মারা গিয়েছে আবু বকর আল বাগদাদি। একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে আইএস প্রধান। টানা ২ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের সময়ে আতঙ্কে চিত্কার করছিল বাগদাদি।