বাচ্চা হওয়ার 'মাশুল' ৬ কোটি টাকা!

গত বছর অক্টোবরে এক কানাডিয়ান দম্পতি হাওয়াইয়ে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। সেখানে জেনিফার হুকুল্যাক হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গর্ভবতী ছিলেন জেনিফার। ছয় সপ্তাহ হাসপাতলে ভর্তি থাকার পর প্রিম্যাচিয়োর সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তাঁদের সন্তান রিককে আরও দুমাস ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। অনুমান করুন এরপর কত বিল করতে পারে হাসপাতাল?

Updated By: Nov 20, 2014, 04:50 PM IST
বাচ্চা হওয়ার 'মাশুল' ৬ কোটি টাকা!
PIC: Facebook

ওয়েব ডেস্ক: গত বছর অক্টোবরে এক কানাডিয়ান দম্পতি হাওয়াইয়ে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। সেখানে জেনিফার হুকুল্যাক হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গর্ভবতী ছিলেন জেনিফার। ছয় সপ্তাহ হাসপাতলে ভর্তি থাকার পর প্রিম্যাচিয়োর সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তাঁদের সন্তান রিককে আরও দুমাস ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। অনুমান করুন এরপর কত বিল করতে পারে হাসপাতাল?

না, পরিমাণটা ভুল বললেন। বিল হয়েছিল ৯৫০,০০০ মার্কিন ডলার। অর্থাত্ ভারতের মুদ্রায় যার মূল্য  ৫ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯০ হাজার। এবার ভাবুন বিদেশে এসে এত টাকা জোগাড় করবেন কী করে এই দম্পতি।

ট্যুরে আসার আগে ব্লু ক্রস বীমা কোম্পানীর কাছে ট্রাভেল বীমা করিয়েছিল তাঁরা।  জেনিফারে শরীর অসুস্থতা থাকার সত্ত্বেও বীমা কোম্পানি আশ্বস্ত করেছিল ট্রাভলের সময় যেকোনও শরীর খারাপে চিকিত্সার খরচ পাবেন। ড্যারেন যোগাযোগ করেন বীমা কোম্পানীর সঙ্গে। কিন্তু তাঁরা অস্বীকার করেন এত টাকা দেবার। বীমা কোম্পানী জানায়, জেনিফারের সন্তানের জন্য কোনও চিকিত্সার খরচ দেবে না। এছাড়াও তাদের বীমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ৯ নভেম্বর ২০১৩। তাঁদের সন্তানের জন্ম হয় ১০ ডিসেম্বর ২০১৩।

তাহলে উপায়! এই খবর সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্লু ক্রস বীমা কোম্পানী নড়চড়ে বসে। কোম্পানী সংবাদমাধ্যমকে জানান, "আমরা পুর্ণবিবেচনা করে দেখছি তাঁদেরকে কীভাবে সাহায্য করা যায়। কারণ আমাদের টার্ম এ্যান্ড কন্ডিশনে শিশুর চিকিত্সার খরচ দেওয়া আমাদের সম্ভব নয়"।

তাঁদের করুণ অবস্থা দেখে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ৯৯ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ধার রেখেছিলেন। এছাড়া বিল থেকে ২৪ লক্ষ টাকা ছাড় দেয়। কিন্তু এতে যে তাদের সমস্যা মিটবে না দম্পতী ভালভাবেই জানেন। সস্কাচিয়ান সরকারের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করলে সরকারের তরফ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এরপর হাত পাততে হয় জনসাধারণের কাছে। কিন্তু ধার এখনও মেটেনি। তাঁদের সন্তান রিকের বয়স এখন প্রায় এক বছর। আর মাথায় ঋণের বোঝা কোটি টাকার। হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া হয়ত কোনও উপায় নেই এই দম্পতীর।     

.