মানুষের সন্তানকে বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচাল গর্ভবতী কুকুর
দু বছরের সন্তানকে একা রেখে চলে গিয়েছিল মা। এদিকে, খিদের জ্বালায় ঘরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল সেই দু বছরের সন্তান। ছোট্ট শিশুর কান্না মন ছুঁয়ে যায়নি কোনও মানুষের। সবাই অবহেলা করলেও ও অবহেলা করতে পারেনি। হতে পারে ও কোনও মানুষ নয়, আসলে একটা কুকুর। কিন্তু মানবিকতা যেখানে শেষ হয়, সেখান থেকেই অনেক সময় দেখা যায় অবলা জীবরা তাদের স্নেহ-ভালবাসার ছাপ রাখা শুরু করে।
ওয়েব ডেস্ক: দু বছরের সন্তানকে একা রেখে চলে গিয়েছিল মা। এদিকে, খিদের জ্বালায় ঘরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল সেই দু বছরের সন্তান। ছোট্ট শিশুর কান্না মন ছুঁয়ে যায়নি কোনও মানুষের। সবাই অবহেলা করলেও ও অবহেলা করতে পারেনি। হতে পারে ও কোনও মানুষ নয়, আসলে একটা কুকুর। কিন্তু মানবিকতা যেখানে শেষ হয়, সেখান থেকেই অনেক সময় দেখা যায় অবলা জীবরা তাদের স্নেহ-ভালবাসার ছাপ রাখা শুরু করে।
সেই কুকুরটি আবার ক দিন পরেই মা হতে চলেছে। হবু সারমেয় মা বুকে টেনে নেয় মানুষের সন্তানকে। কুকুরটি নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখে সেই দু বছরের শিশুটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে চিলির রাজধানী স্যান্টিয়াগো থেকে ১,২৪০ মাইল দূরে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই একেবারে নিজের সন্তানের মত শিশুটিকে আগলে রাখে কুকুরটি। আরও মজার কথা সাধারণ মানুষ শিশুটিকে দেখলেও একেবারে আমল দেয়নি। তবে দু একজন পুলিসকে খবর দেয় হাসপাতালের পাশে এক গ্যারেজে একটা কুকুর নাকি একটা শিশুকে আগলে রাখছে। ক দিন পর পুলিস গিয়ে খোঁজ করতেই অবাক বনে যায়। তদন্তের পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররাই জানান, শিশুটি পুষ্টির অভাবে ভূগলে, ওর বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ কুকুরের স্নেহ-ভালবাসা। এই কদিন খাবার না পেলে শিশুটিকে বাঁচানো অসম্ভব হত বলেও তারা জানান।