১১ মিনিটের জন্য 'ভ্যানিশ' প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সরগরম টুইটার
ওয়েব ডেস্ক: টুইটার থেকে ১১ মিনিটের জন্য উধাও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪ কোটি ১৭ লাখ অনুরাগী বিশিষ্ট আক্যাউন্টটি নিরুদ্দেশ হতেই অবাক হয়ে যায় তামাম ই-দুনিয়া। কিন্তু হলটা কী? বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনার তদন্তে নেমে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টুইটারের এক কর্মীর ভুলেই ১১ মিনিটের জন্য ভ্যানিশ হয়ে যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। যদিও যে কর্মীর দ্বারা এই মারাত্মক ভুলটি হয়েছে, তাঁর নাম প্রকাশ করেনি টুইটার। একই সঙ্গে 'টুইটার গভর্নমেন্ট' তাদের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে জানায়, আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছি এবং আগামী দিনে যেন এমন কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- লাদেনের পছন্দ কার্টুন!
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট উধায়ের ঘটনাকে কেবল 'ত্রুটি' হিসেবে দেখতে নারাজ নেটিজেনরা। 'বন্ধুসম' টুইটারের সঙ্গে এই সাময়িক বিচ্ছেদে নাকি ক্ষুব্ধ খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রাজনৈতিক সমালোচক সোনিয়া সারাইয়া এই ঘটনা প্রসঙ্গে লিখছেন, "ট্রাম্প যদি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেন তাহলে তা হবে তাঁর ইস্তফাপত্রের সমান।"
আরও পড়ুন- আইএসআইকে মদত! খালেদার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা বাংলাদেশে
যদিও নিজের আক্যাউন্ট ডিলিট নিয়ে এখনও কিছু বলেননি টুইটারে সদা জাগ্রত ট্রাম্প। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় থেকেই টুইটারে নাগাড়ে ট্রেন্ডিং থেকেছেন ট্রাম্প। পৃথিবীর বাকি তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে তুলনায় ট্রাম্পের টুইটার উপস্থিতি সর্বদাই শীর্ষে থেকেছে। এমনকি ট্রাম্পের টুইট নানা সময়েই শিরোনামে এসেছে। এবারও তিনি আরও একবার খবরের শিরোনামে এলেন তাঁর 'বন্ধু' টুইটারের জন্যই।
Earlier today @realdonaldtrump’s account was inadvertently deactivated due to human error by a Twitter employee. The account was down for 11 minutes, and has since been restored. We are continuing to investigate and are taking steps to prevent this from happening again.
— Twitter Government (@TwitterGov) November 3, 2017
Through our investigation we have learned that this was done by a Twitter customer support employee who did this on the employee’s last day. We are conducting a full internal review. https://t.co/mlarOgiaRF
— Twitter Government (@TwitterGov) November 3, 2017