২৮ বছর ধরে ট্রাফিক সিগন্যাল লাল
অনেক কিছুর সাক্ষী এই লাল আলোটা। বার্লিনের দেওয়াল তখনও ভাঙা হয়নি। তার দু বছর আগে থেকে জ্বলছে জার্মানির ড্রেসডেন শহরের এক ট্রাফিক সিগন্যালের লালবাতিটা। দিন পেরিয়ে গড়িয়েছে মাস, মাস পেরিয়ে বছর, তারপর একটা যুগ পেরিয়ে আরও একটা, তারও আরও কটা বছর। কিন্তু ড্রেসডেন শহরের গত ২৮ বছর ধরে ট্রাফিক সিগন্যালের এই বাতিটা লাল থেকে হলুদ বা সবুজ হয়নি। ট্রাফিক সিগন্যাল সব সময়ই লাল হয়ে স্থির হয়ে আছে। না কোনও কারণে খারাপ হয়ে যায়নি। রীতিমত বছরে ৫ হাজার ৫০০ ইউরো খরচ করে এই ট্রাফিক সিগন্যালকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: অনেক কিছুর সাক্ষী এই লাল আলোটা। বার্লিনের দেওয়াল তখনও ভাঙা হয়নি। তার দু বছর আগে থেকে জ্বলছে জার্মানির ড্রেসডেন শহরের এক ট্রাফিক সিগন্যালের লালবাতিটা। দিন পেরিয়ে গড়িয়েছে মাস, মাস পেরিয়ে বছর, তারপর একটা যুগ পেরিয়ে আরও একটা, তারও আরও কটা বছর। কিন্তু ড্রেসডেন শহরের গত ২৮ বছর ধরে ট্রাফিক সিগন্যালের এই বাতিটা লাল থেকে হলুদ বা সবুজ হয়নি। ট্রাফিক সিগন্যাল সব সময়ই লাল হয়ে স্থির হয়ে আছে। না কোনও কারণে খারাপ হয়ে যায়নি। রীতিমত বছরে ৫ হাজার ৫০০ ইউরো খরচ করে এই ট্রাফিক সিগন্যালকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।
এবার ব্যাপরটা খোলসা করে বলা যাক। ১৯৮৭ সালে ড্রেসডেন শহরে গুরুত্বপূর্ণ এক চার মাথার মোড়ে বসানো হয় এক ট্রাফিক সিগন্যাল। চার মাথার দক্ষিণেই এলবে নদী। চার মাথার বাকি তিন দিকের ট্রাফিক সিগন্যালের আলোর পরিবর্তন হয়। শুধু কোনও গাড়ি সোজা যেতে গেলেই লাল সংকেতের মুখে পড়তে হয়। গত ২৮ বছর ধরে এই অদ্ভুত ট্রাফিক সিগন্যাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ ইউরো। কিন্তু এমনভাবে হাতি পোষার মত কেন জ্বালিয়ে রাখা হয় ট্রাফিকের লাল আলো? শহরের প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, আইনের অক্ষরে অক্ষরে পালনের জন্য লালবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। ওই রাস্তাটা বন্ধ করে রেখে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে অন্য রাস্তায় পাঠানো হচ্ছে। তাহলে কেন 'STOP' সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লালবাতি বন্ধ করা হচ্ছে না। আসলে সেখানেও রয়েছে আইনের বজ্রআটুনি। শহরের ট্রাফিক আইনে পরিষ্কার লেখা আছে স্টপ নয় লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে।