Farmers' Protest শান্তিপূর্ণ, সরকারের উচিত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সপক্ষে আমেরিকার একাংশ
কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মীনা হ্যারিস বলেছেন, 'পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্রে আঘাত পড়েছে। কৃষক আন্দোলনে হিংসা ছড়াচ্ছে, যা দেখে আমরা মর্মাহত'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ভারতের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, যা পরিচয় দেয় ভারতের গণতন্ত্রের', কৃষক বিদ্রোহের পাশে এবার আমেরিকা। রিহানা, গ্রেটা থানবার্গ, মিয়া খালিফা সহ বেশ অনেকেই ভারতের কৃষক বিদ্রোহর সপক্ষে মতামত করতেই শোরগোল পড়ে টুইটারে। এদিকে, কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে কৃষক বিদ্রোহকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির মুখেও শোনা যায় কৃষক আন্দোলন দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু, কৃষক আন্দোলনের রূপ আমেরিকার চোখে শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ। আর তাই তার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগেই, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, 'ওয়াশিংটন থাকবে ভারতের কৃষক আন্দোলনের পক্ষে। কারণ, আমেরিকা বাক স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেয়'।
Solidarity with all the farmers across India protesting for their livelihood.
India must protect their basic democratic rights, allow for the free flow of information, reinstate internet access, and release all the journalists detained for covering the protests. https://t.co/uOvwNkIu5n
— Ilhan Omar (@IlhanMN) February 3, 2021
কিন্তু কৃষক আন্দোলনে বিদেশের নাক গলানো মোটে পছন্দ করছে না ভারতের বিশিষ্ট জনের একাংশ। আমরিকার কংগ্রেসের সদস্য হ্যালে স্টিভেন বলেছেন, 'জাতীয় আইনসভার সদস্য হিসেবে ভারত সরকারের আইন বলবৎ করার অধিকারকে গুরুত্ব দিই। পাশাপাশি, আমরা এটাও মনে করি, ভারত হোক বা বিদেশের যে কোনও দেশে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে'।
It’s no coincidence that the world’s oldest democracy was attacked not even a month ago, and as we speak, the most populous democracy is under assault. This is related. We ALL should be outraged by India’s internet shutdowns and paramilitary violence against farmer protesters. https://t.co/yIvCWYQDD1 pic.twitter.com/DxWWhkemxW
— Meena Harris (@meenaharris) February 2, 2021
আরেক সদস্য ইলহান ওমার টুইট করে বলেছেন, 'নিজেদের রোজগারের পথকে সুরক্ষিত রাখতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। ভারত সরকারের উচিত তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। আন্দোলনকারীদের কথা শোনা। তাদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। ইন্টারনেট, জল সহ যে পরিষেবা অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা চালু করা এবং যে সাংবাদিকরা আন্দোলনের খবরকে সামনে আনছে তাদের মুক্ত করতে হবে'।
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মীনা হ্যারিস বলেছেন, 'পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্রে আঘাত পড়েছে। কৃষক আন্দোলনে হিংসা ছড়াচ্ছে, যা দেখে আমরা মর্মাহত'।
প্রসঙ্গত, রিহানা , গ্রেটা থানবার্গের টুইটের পর পাল্টা জবাব দিতে সুর চড়িয়েছে ভারত। বিজেপি নেতাদের কথায়, ভারতের ঐক্য নষ্ট করতে চলেছে বিদেশিরা। একই সুরে কথা বলেছে সচীন তেণ্ডুলকার। টুইটারে ট্রেন্ড করছে শুরু হয়েছে #IndiaAgainstPropaganda।