Telegram CEO Arrest: প্যারিসে পা রাখতেই গ্রেফতার টেলিগ্রামের CEO, কী কারণে আটক হলেন ধনকুবের?
Telegram CEO Pavel Durov arrest: গ্রেফতার হলেন টেলিগ্রাম অ্যাপের সিইও পাভেল দুরভ । শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসের বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। কিন্তু কেন গ্রেফতার হলেন তিনি?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি পুলিশ। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসের উত্তরে একটি বিমানবন্দর থেকে ৩৯ বছর বয়সী রাশিয়ান বংশোদ্ভূত পাভেল দুরভকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় দুরভ নিজের প্রাইভেট জেট করে ফ্রান্সের লো বোর্গেট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন- Sunita Williams: ইলন মাস্কেই আস্থা! সুনীতা-বুচকে ছাড়াই ফিরবে মহাকাশযান, বড় সিদ্ধান্ত নাসার...
সূত্রের খবর, টেলিগ্রাম অ্যাপটি অপরাধমূলক ব্যবহার রোধে সক্ষম নয়। যার জেরে পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এদিকে পাভেলের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে রুশ সরকার। রাশিয়া, ইউক্রেন, পূর্বে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো রাষ্ট্রগুলিতে টেলিগ্রামের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এটি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠেছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, এর আগে টেলিগ্রাম অ্যাপের তথ্যভাণ্ডার রুশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল পাভেলকে। এরপরই ২০১৪ সালে রাশিয়া ত্যাগ করেন তিনি। সেখান থেকে দুবাইয়ে চলে যান তিনি। দুবাই থেকেই অ্যাপের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতেন। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বছর তিনেকের মাথায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন- R G Kar Protest: উত্তরপাড়ার পর এবার কোন্নগরের পুজো কমিটি, ফিরিয়ে দিল ৮৫ হাজার...
বিশ্বে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও উইচ্যাটের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতার মাধ্যমে মি. দুরভ বিশ্বের অন্যতম সম্পদশালী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপদে বার্তা আদান-প্রদানের পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে স্বচ্ছন্দে যোগাযোগের সুযোগ থাকায় দ্রুত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে টেলিগ্রাম অ্যাপের।ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্যমতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশ দু'টিতে টেলিগ্রাম অ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে।আর তাই বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মূলধারার প্রায় সব গণমাধ্যম, সরকারি সংস্থা ও আলোচিত ব্যক্তিরা টেলিগ্রামে চ্যানেল পরিচালনা করছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও টেলিগ্রাম অ্যাপে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করেন। জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির বিপরীতে সরকারি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ না থাকায় রাশিয়া ছাড়াও আরও যে দু-একটি দেশে টেলিগ্রাম নিষিদ্ধের ঘটনা অতীতে ঘটেছে, ইরান সেগুলোর একটি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)