ক্রিসমাসের মরসুমে হ্যাকারদের টার্গেটে `টার্গেট`
ক্রিসমাসের মরসুমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় জালিয়াতির ঘটনা। খুচরো বিপণন সংস্থা টার্গেটের পেমেন্ট সিস্টেম হ্যাক করে চার কোটি ক্রেতার ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ডের সব তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন টার্গেটের ক্রেতারা।
ক্রিসমাসের মরসুমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় জালিয়াতির ঘটনা। খুচরো বিপণন সংস্থা টার্গেটের পেমেন্ট সিস্টেম হ্যাক করে চার কোটি ক্রেতার ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ডের সব তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন টার্গেটের ক্রেতারা।
একটা দুটো নয়, প্রায় চার কোটি ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। এমন আশঙ্কাই করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম খুচরো বিপণন সংস্থা টারগেট-এর কর্তৃপক্ষ। টার্গেটের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রেতারা যখন টারগেটের দোকানগুলিতে তাঁদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেছেন, তখনই সব তথ্য পাচার হয়ে গিয়েছে হ্যাকারদের হাতে। বিশাল এই তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের আগের দিন, অর্থাত্ উনতিরিশে নভেম্বর থেকে শুরু করে পনেরোই ডিসেম্বর পর্যন্ত উনিশ দিন সময়ের মধ্যে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমত আতঙ্কে টার্গেটের ক্রেতারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৯৭টি দোকান রয়েছে টার্গেটের। সবকটির পেমেন্ট সিস্টেমেই হ্যাকাররা তাদের জাল ছড়িয়েছিল। প্রতিটি দোকানের কার্ড সোয়াইপ মেশিনে তথ্য চুরির কোড ঢুকিয়ে দিয়েছিল হ্যাকাররা। তবে কী পদ্ধতিতে এই কাজ করা হয়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়।
টার্গেট কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনার জন্য তাদের ক্রেতাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে চলেছে খুচরো বিপণন সংস্থাটি। এজন্য মার্কিন প্রশাসনের সাহায্য নিয়েছে টার্গেট কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকেও নজর দিয়েছে সংস্থাটি। ক্রিসমাসের মরসুমে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ধস নেমেছে টার্গেটের শেয়ারেও। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটন ঘটেছিল দুহাজার সাতে। সেবার টিজে ম্যাক্স অ্যান্ড মার্শালস সংস্থার থেকে চার কোটি ৬০ লক্ষ ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা। তারপর এই টার্গেটকাণ্ডের জেরে নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন প্রশাসনও।